উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে সিরাজগঞ্জ-গাইবান্ধায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে যমুনা ও তিস্তা নদীর
- আপডেট সময় : ০১:১৯:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫২৩ বার পড়া হয়েছে
উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে যমুনা এবং তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন চর ও নিম্নাঞ্চলের হাজারো মানুষ। অতি বৃষ্টিতে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের কয়েকটি স্থানেও ধস দেখা দিয়েছে। এতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি রয়েছে ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে।
গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে আরও ২৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৭৮ এবং কাজীপুরের মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৩৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ১০৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিদিনই পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চল ও নদী-তীরবর্তী এলাকার কৃষি ক্ষেতসহ রাস্তা ঘাট। পানিবন্দী এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। এদিকে, এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যার আশঙ্কা করছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
লালমনিরহাটেও আবার বেড়েছে তিস্তার পানি। প্লাবিত হয়েছে নদী অববাহিকার কয়েকটি গ্রাম। কয়েক জায়গায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। ভাঙন রোধে আপাতত পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলছে। অন্যদিকে, পানির চাপ সামলাতে খুলে দেয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারেজের সবকটি গেট। চারদিন ধরে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে তিস্তার পানি। প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা। তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট। দুর্ভোগে পড়েছেন ভাটি এলাকার অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ।
কুড়িগ্রামে ধরলা ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও নদীর অববাহিকার চর ও নীচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে এবং তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভক্সপপ:
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের কয়েক স্থানেও ধস দেখা দিয়েছে। একটি বেসরকারি স্থাপনাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ি রয়েছে ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে। সম্প্রতি ১১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাঁধটির বেশ কিছু স্থান ধসে গেছে। এতে বাঁধসংলগ্ন উপজেলা পরিষদ, থানা, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ডাকবাংলো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শতশত বাড়িঘর পড়েছে হুমকির মুখে।
এদিকে, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উড়িষ্যা উপকূলে অবস্থান করছে। এটি উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ফলে এর প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে উঠছে। আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। গতকাল রাত থেকে থেমে থেমে হালকা ও মাঝারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে।