উত্তর-মধ্যাঞ্চলে ১৮ জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি
- আপডেট সময় : ০৬:০৩:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪
- / ১৮৭০ বার পড়া হয়েছে
যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের পানি কিছুটা কমলেও দেশের উত্তর-মধ্যাঞ্চলে ১৮ জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এখনও বিপৎসীমার ওপরে নদ-নদীর পানি। বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, হাট-বাজার, ফসলি জমি। বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এদিকে, সিলেটে বন্যার মধ্যেই শুরু হয়েছে এইচএসসি পরীক্ষা।
বন্যার কারণে সিলেটে স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৩০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮২ হাজার ৭৯৫ জন পরীক্ষার্থী। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও জেলার পাঁচ লাখের বেশি মানুষ বন্যা কবলিত। টাঙ্গাইলে পানিবন্দি গোপালপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, সদর ও নাগরপুর উপজলার ৪৬ হাজার মানুষ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে বাড়িঘর, হাট-বাজার, ফসলি জমি। টাঙ্গাইল পানি উনয়ন বোর্ড জানিয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা ও ঝিনাই নদীর পানি সামান্য কমলেও অন্য সব নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও জেলার অভ্যন্তরীন ফুলজোড়, ইছামতি, করতোয়া নদীসহ চলবিলের নদ-নদীর পানি বাড়ছে।এতে ৫ উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দি। নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। কুড়িগ্রামে চরম দুর্ভোগে লক্ষাধিক বানভাসী মানুষ। ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারের পানি এখনও বিপৎসীমার উপরে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, উজানের পানি ও বৃষ্টি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে এখনও পাঠদান বন্ধ রয়েছে ৩৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। জামালপুরে কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। তবে কমেনি দুর্গতদের দুর্ভোগ। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ৮ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বানের পানিতে প্লাবিত হয়ে বন্ধ রয়েছে ৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।