উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতায় ব্যাহত জীবনযাত্রা
- আপডেট সময় : ০১:০৫:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৭৩৬ বার পড়া হয়েছে
ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় জবুথবু জনজীবন। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উত্তরের বেশিরভাগ জেলা। মেঘাচ্ছন্ন আকাশে দেখা মিলছে না সূর্যের। শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে ছিন্নমূল, হতদরিদ্র মানুষ। ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। ঘন কুয়াশায় দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা খুব বেশি কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
শীত নিবারণে পঞ্চগড়ে অনেককেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। আবার অনেকেই একটা মোটা কাপড়ের জন্য ছুটছেন জেলা ও উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দফতরে। তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা.১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষজন। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
রংপুরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশা বিরাজ করছে। আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে হুমকির মুখে পড়েছে বোরো বীজতলা। অধিকাংশ চারাই লালচে-হলুদ হয়ে গেছে।
ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় নওগাঁর মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। শীতের কারণে লোকজন বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। এক সপ্তাহে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ৮২৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
দিনাজপুরের হিলিতে কয়েক দিন ধরে ঘনকুয়াশায় ঢেকে আছে চার পাশ। হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে সব ধরনের যানবাহন। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ।
গাইবান্ধায় জেকে বসেছে শীত, গত দুই দিন থেকে সূর্য়ের আলো দেখা যায়নি। এদিকে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়েছে। গত কয়েকদিন থেকে হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিমনিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এদিকে,বিভিন্ন সংষ্থার পক্ষ থেকে এতিম ও অসহায় দুঃস্থ মানুষের মাঝে শীতবন্ত্র বিতরন করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় গভীর রাত থেকে কুয়াশার মাত্রা বাড়তে থাকে। ২০ থেকে ৩০ গজ দুরের কোন কিছু দেখা যাচ্ছে না।দিনের বেলায় যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে।
মেঘলা আকাশ আর কুয়াশায় নীলফামারিতে তিন দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি এই জেলায়। ভোর রাত থেকে বৃষ্টির মতো পড়ে কুয়াশা। ঘন কুয়াশায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠা-নামা ব্যাহত হচ্ছে।