উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে চট্টগ্রামে এমএ মান্নান ফ্লাইওভারের ফাটল মেরামত করা যাবে
- আপডেট সময় : ০১:৪৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অক্টোবর ২০২১
- / ১৬৫১ বার পড়া হয়েছে
উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটের এমএ মান্নান ফ্লাইওভারের ফাটল মেরামত করা যাবে। তবে তা হবে অত্যন্ত ব্যয়বহুল। নির্মাণের মাত্র চার বছরের মাথায় এতবড় ত্রুটি ধরা পড়ায় পুরো উড়ালসড়কটি ফের পরীক্ষা নিরীক্ষার পাশাপাশি এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সাথে দেশের সবগুলো ফ্লাইওভার নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করার তাগিদও দিয়েছেন তারা।
চট্টগ্রামের এমএ মান্নান ফ্লাইওভারটি ২০১২ সালে নির্মাণ করা হলেও বহদ্দারহাটমুখী রেম্পের বয়স মাত্র চার বছর। মুল উড়ালসড়কে যানবাহন না ওঠায় উদ্বোধনের ৫ বছর পর আরাকান সড়কমুখী এই রেম্পটি জোড়া দেয় সিডিএ। গত পরশু নতুন এই রেম্পের দুটি পিলারে ফাটল ধরায় তোলপাড় শুরু হয় দেশজুড়ে।
নগরবিদরা বলছেন, একসঙ্গে দুটি পিলারে ফাটলকে কাঠামোগত ব্যার্থতা হিসেবেই মনে করেন তারা। তাই পুরো উড়ালসড়কটির মান নিয়েই প্রশ্ন রয়েছে তাদের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উড়ালসড়কগুলোর নিজস্ব ওজনই অনেক বেশী। তাই শুধু যান চলাচলা বন্ধ করেই জনবহুল এলাকাটি ঝুঁকিমুক্ত ভাবার সুযোগ নেই।
ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার মজুমদারের অভিযোগ, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান কারোরই ফ্লাইওভারের মতো অবকাঠামো নির্মাণের অভিজ্ঞতা ছিলো না। তাই সংশ্লিষ্টদের আনতে হবে আইনের আওতায়।
আর স্থপতি আশিক ইমরান মনে করে, শুধু এমএ মান্নান ফ্লাইওভারই নয়, দেশের সব ফ্লাইওভার আর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে গুলোকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের রূপরেখা নির্ধারণ করার সময় হয়েছে।
এমএ মান্নান ফ্লাইওভার ছাড়াও চট্টগ্রামের আরো তিনটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে সিডিএ। এছাড়া লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েও নির্মাণ করছে একটি প্রতিষ্ঠান।