উপকূলীয় জেলাগুলোতে সকাল থেকেই থেমে থেমে ভারী বৃষ্টি
- আপডেট সময় : ০৫:৩১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
- / ১৫৩৫ বার পড়া হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাব ও দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালী, নেত্রকোনা, পটুয়াখালী ও কক্সবাজারসহ উপকূলীয় বিভিন্ন উপজেলায় সকাল থেকে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বেড়েছে ঝড়োবাতাস। হাতিয়ার নলচিরা-চেয়ারম্যানঘাটসহ সকল রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষি ফসল।
ঘুর্ণিঝড় অশনির প্রভাব থেকে চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলকে সুরক্ষিত রাখতে সব ধরনের লাইটার জাহাজ ও মাছ ধরা ট্রলারকে সরিয়ে দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষও খোলা হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপকুলীয় এলাকা কিংবা বহির্নোঙরে এখনো ঘূর্ণিঝড়ের বড় কোন প্রভাব পড়েনি। তাই জেটিতে পণ্য ওঠানামা ও বহির্নোঙরের লাইটারিং কার্যক্রম চলছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাবে নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদী উত্তাল, চলছে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব নৌ-যানকে উপকূলের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় ঝুঁকি বেড়েছে নদীপথে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাইক্লোন শেল্টারসহ আশ্রয় কেন্দ্রগুলো।
বাগেরহাটে ঘুর্ণিঝড় ‘অশনি’ মোকাবিলায় ৩৪৪টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুতসহ উপকূলীয় এলাকায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
নেত্রকোনার ১০ উপজেলায় অশনি’র প্রভাবে কখনও মাঝারি, কখনও গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এদিকে হাওর ও সমতল এলাকায় বৃষ্টিতে বোরো ধান কাটায় ব্যাঘাত ঘটছে।
অশনি’র প্রভাবে বরগুনায় সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে রবি ফসল ও শাক-সবজি ক্ষেতের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। জেলার উপজেলাগুলোতে টানা বৃষ্টিপাতে ফসলের ক্ষেতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে।
ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় কক্সবাজারে ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগের আগে ও পরে জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া, তৈরি করা খাদ্য মজুদ, সুপেয় পানি, প্রয়োজনীয় যানবাহন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণসহ সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর এখন উত্তাল। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ৭ নদীবন্দরও জারি করা হয়েছে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারী সংকেত। সকল মাছধরা ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।