উপকূলে আঘাত হেনেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়- রেমাল। এরই মধ্যে নিহত হয়েছে তিন’জন। ভোর রাতেই উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড়ের মূল কেন্দ্র। এ অবস্থায় পায়রা ও মংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক হাফিজুর রহমান জানান, প্রবল ঘুর্ণিঝড়টি মধ্যরাতের মধ্যেই সুন্দরবন অঞ্চল অতিক্রম করতে থাকে। এর প্রভাবে তৈরি উচ্চ জলোচ্ছ্বাস ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা স্থায়ী হয়।

যত সময় যাচ্ছে ততোই বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় রিমাল। ঘূর্ণিঝড় রিমাল উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সন্ধ্যা থকে মধ্যরাতে মোংলার নিকট পশ্চিমবঙ্গের সাগর আইল্যান্ড ও খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের উপস্থিত দ্বীপ ও চোর সমূহের নিম্ন অঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুট জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

রাজশাহী রংপুর ময়মনসিংহ ঢাকা খুলনা বরিশাল চট্টগ্রাম সিলেট বিভাগে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রামের, পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধ্বসের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দপ্তর। এর প্রভাবে রাজধানী ঢাকায় কাল সারাদিন বৃষ্টি হতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।