গ্রিন সার্টিফিকেট পেয়েছে বাংলাদেশের একটি শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ড

- আপডেট সময় : ০২:০৯:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ১৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
আইএসও’র পর এবার বাংলাদেশের একমাত্র গ্রীণ শিপ ইয়ার্ড হিসেবে হংকং কনভেনশনের অধীন জাপানের ক্লাস এন কে’র এসওসি সার্টিফিকেট পেয়েছে বাংলাদেশের একটি শীপ ব্রেকিং ইয়ার্ড। এর মাধ্যমে প্রচলিত প্রথা ভেঙে পরিবেশ বান্ধব ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে জাহাজ ভাঙার যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিবেশের ক্ষতি না করা, আর শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধন্য দেয়ায় মিলেছে আন্তর্জাতিক এই সনদ। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অন্য ইয়ার্ড মালিকরাও এভাবে এগিয়ে এলে দুর্নাম ঘুচবে এই খাতের।
কয়েক দশক ধরেই জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে বিশ্বের শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। পরিবেশের ক্ষতি, দুর্ঘটনায় শ্রমিকের মৃত্যুসহ নানা কারণে এতদিন এই খাতে দুর্নাম থাকলেও হালে মিলেছে সুখবর। সম্পুর্ণ পরিবেশ বান্ধব আর দুর্ঘটনা এড়িয়ে পরিকল্পিত জাহাজ ভাঙ্গার কাজ করায় পিএইচপি শীপ ব্রেকিং এন্ড রিসাইক্লিং ইয়ার্ড নামের এই ইয়ার্ডটি জাপানের ক্লাস এন কে এর এসওসি সার্টিফিকেট পেয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে সর্বপ্রথম ইটালীর রীনার কাছ থেকে গ্রীণ ইয়ার্ডের মর্যাদা পায় ইয়ার্ডটি। সাধারণ একটি শিপ ইয়ার্ডকে গ্রীণ ইয়ার্ডে রুপান্তরিত করতে বিনিয়োগ করতে হয়েছে অন্তত অর্ধশত কোটি টাকা। বিশাল এই বিনিয়োগ এই খাতের উন্নয়নে বড় বাধা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাকুণ্ডের শিপ ব্রেকিং জোনে দেড়শো ইয়ার্ড থাকলেও অপারেশনে আছে একশোটির কাছাকাছি। কিন্তু গ্রীণ শিপ ইয়ার্ডের মর্যাদা পেয়েছে মাত্র একটি।