এখনো বিপৎসীমার উপরে সিলেটের সব নদীর পানি
- আপডেট সময় : ০৮:৩১:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২
- / ১৫৭৮ বার পড়া হয়েছে
সিলেটে ভারি বৃষ্টি কমেছে। তবে, পাহাড়ি ঢল অব্যাহত রয়েছে। এখনও সব নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের বাসা-বাড়ি ও সড়কে এখন কোথাও কোথাও কোমড় থেকে বুক পানিতে তলিয়ে আছে। অপ্রতুল ত্রাণের কারণে দুর্ভোগে আছেন বানভাসি মানুষ। এদিকে, মৌলভীবাজারের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।
স্থানীয় বৃষ্টিপাত বন্ধ হলেও উজানের পানিতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সিলেটের লোকালয়ের পানি। জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, বিয়ানীবাজার, ওসমানীনগর, বলালাগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে। তলিয়ে গেছে সবকটি প্রধান সড়ক।
জকিগঞ্জে ৪৬ বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এতে ৮৮৫ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর বড়চালিয়া, আমলসীদ, পিল্লাকান্দি, ও সুরমা নদীর মুন্সিবাজার, রঘুরচকসহ স্থানে স্থানে সুরমা-কুশিয়ারার বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। শতাধিক স্থানে স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ রক্ষার চেষ্টায় আছে। উপজেলাগুলোর প্রায় ৭০ ভাগ মানুষ পানিবন্দি আছে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সুরমা-কুশিয়ারার মিলনস্থলে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে
বিপদ আর কষ্ট সঙ্গে নিয়েই দিন কাটছে বলে বলে জানালেন এই জনপ্রতিনিধি।
বানভাসি মানুষকে সহযোগিতার হাত বাড়ানো আহ্বান জানিয়েছেন সমাজসেবক।
সব উপদ্রুত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছেনি বলে জানালেন এই জনপ্রতিনিধি।
সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে আশ্রয় কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। দেখা দিয়েছে পানি বাহিত রোগ। তা ঠেকাতে সবাই কাজ করছে বলে জানান জাহাঙ্গীর কবীর নানক।
এদিকে, জকিগঞ্জ উপজেলার সুরমা-কুশিয়ারা নদীর প্রায় ৪০টি স্থানের বাঁধ ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।