এবার মাশুল বাড়ানোর উদ্যোগ চট্টগ্রাম বন্দরের
- আপডেট সময় : ০১:৪৭:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মে ২০২২
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
এবার মাশুল বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। ইতিমধ্যে কনসালটেন্টের মাধ্যমে সব রুপরেখা চুড়ান্ত করা হয়েছে। সরকারের অনুমোদন পেলে, নতুন অর্থবছরের শুরু থেকেই বর্ধিত মাশুল আদায় করতে চায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, বিভিন্ন খাতে ব্যয় বাড়ায় ২৬ বছর আগের নির্ধারিত মাশুলে সেবা দেয়া কঠিন। তবে ব্যবসায়ী নেতাদের দাবি, ‘কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস’ নিয়ন্ত্রনে রাখতে ব্যবসার মানুসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে বন্দর কর্তৃপক্ষকে।
করোনার পর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যের পদে পদে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয়েছে। সমুদ্রুগামী জাহাজ আর কন্টেইনার সংকটে ফ্রেইট বাড়ার পাশাপাশি, দেশের অভ্যন্তরে তেলের দাম বাড়ায় পণ্য পরিবহণ খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ।যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জাতীয় অর্থনীতিতে।
ব্যবসা বাণিজ্যের এমন অস্থিরতার মধ্যে নতুন করে মাশুল বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই উদ্যোগকে নতুন প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখছেন উদ্যোক্তারা।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, আধুনিক সব যন্ত্রাংশ অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি সক্ষমতা বাড়াতে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করতে হচ্ছে বন্দর অপারেশনে। তাই ২৬ বছর আগে নির্ধারিত মাশুলে ,আর সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বন্দরের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে সবকটি ব্যবসায়ী সংগঠন। তাদের দাবি, আধুনিক যন্ত্রাংশের সংযোজন করায় বন্দরের খরচ কমেছে । এই বাস্তবতায় মাশুল বাড়ানোর উদ্যোগ অযৌক্তিক। এতে নতুন করে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরী হবে ।
সবশেষ মাশুল নির্ধারণ করা হয় ১৯৮৬ সালে; যখন টাকার বিপরীতে ডলারের দাম ছিল ২২ থেকে ২৬ টাকা। যা এখন একশো টাকা ছুয়েছে। এমনিতেই ৭০ গুন বেশী মাশুল পরিশোধ করছেন আমদানী-রপ্তানীকারকরা। এর ওপর বন্দরের মাশুল বাড়লে তা মরার ওপর খারার ঘা হয়ে উঠবে বলে দাবি ব্যবসায়ী নেতাদের।