০৩:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

এবার ৫৮ শতাংশ বেশী রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজকে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৫৮৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গেল অর্থবছরে আদায়ের চেয়ে এবার ৫৮ শতাংশ বেশী রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজকে। কিন্তু প্রথম তিন মাসে টার্গেটের ধারের কাছেও পৌছতে পারেনি রাজস্ব আয়ের এই প্রতিষ্ঠানটি। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে অধিকাংশ পণ্যের দাম কমাসহ আমদানীর পরিমান হ্রাস পাওয়ায় এবছর লক্ষ্যমাত্রা পুরণ করা কঠিন হবে। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন টার্গেট পুরণে কঠোর হবার পরিবর্তে সহযোগী হবার মানষিকতা নিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কাজ করলে এখনো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব।

গেল ২০১৯-২০ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজকে ৫৮ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বেধে দিয়েছিলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। বছর শেষে আদায়ের খাতায় জমা পড়েছিলো ৪২ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশী। যা লক্ষ্যমাত্রার ৭২ শতাংশের কাছাকাছি। প্রবৃদ্ধির হিসেব কষে চলতি অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। যা আগের বছরে আদায় হওয়া রাজস্বের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশী।

করোনার কারণে আমদানী রপ্তানী বাণিজ্য কমেছে আশংকা জনকভাবে। কাস্টসের খাতার যার পরিমান প্রায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। তাই লক্ষ্যমাত্রার মাসওয়ারী রাজস্ব আয়ের ধারের কাছেও পৌছতে পারেনি চট্টগ্রাম কাস্টমস। তবে কাস্টমস কমিশনারের আশা শুরুটা যেমন তেমন হলেও শেষটা ভাল হবে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতিরিক্ত এই টার্গেট পুরণ করতে কঠোর হচ্ছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এতে হয়রানীর মুখে পড়ে নিরুতসাহিত হচ্ছেন আমদানী রপ্তানী কারকরা। যা টার্গেট অর্জনে বড় বাধা।

চট্টগ্রাম চেম্বার বলছে, কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতীগুলো মান্ধাতা আমলের। তাই ব্যবসায়ীক পদ্ধতীর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না কাস্টমস। রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতীতে ডিজিটালাইজেশন এবং ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা করলে জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ফল আসার পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও সম্ভব হবে।  রপ্তানী পণ্য স্টাফিংয়ের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে শুল্কায়ন সম্পন্ন করতে বাধ্যতামুলক করাসহ বেশ কিছু নতুন নিয়ম চালু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। যা অতিরিক্ত টার্গেট পুরণের চেষ্টা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এবার ৫৮ শতাংশ বেশী রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজকে

আপডেট সময় : ০১:৫৫:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০

গেল অর্থবছরে আদায়ের চেয়ে এবার ৫৮ শতাংশ বেশী রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজকে। কিন্তু প্রথম তিন মাসে টার্গেটের ধারের কাছেও পৌছতে পারেনি রাজস্ব আয়ের এই প্রতিষ্ঠানটি। কাস্টমস কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে অধিকাংশ পণ্যের দাম কমাসহ আমদানীর পরিমান হ্রাস পাওয়ায় এবছর লক্ষ্যমাত্রা পুরণ করা কঠিন হবে। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন টার্গেট পুরণে কঠোর হবার পরিবর্তে সহযোগী হবার মানষিকতা নিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কাজ করলে এখনো লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব।

গেল ২০১৯-২০ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজকে ৫৮ হাজার কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বেধে দিয়েছিলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর। বছর শেষে আদায়ের খাতায় জমা পড়েছিলো ৪২ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশী। যা লক্ষ্যমাত্রার ৭২ শতাংশের কাছাকাছি। প্রবৃদ্ধির হিসেব কষে চলতি অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। যা আগের বছরে আদায় হওয়া রাজস্বের চেয়ে ৫৮ শতাংশ বেশী।

করোনার কারণে আমদানী রপ্তানী বাণিজ্য কমেছে আশংকা জনকভাবে। কাস্টসের খাতার যার পরিমান প্রায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। তাই লক্ষ্যমাত্রার মাসওয়ারী রাজস্ব আয়ের ধারের কাছেও পৌছতে পারেনি চট্টগ্রাম কাস্টমস। তবে কাস্টমস কমিশনারের আশা শুরুটা যেমন তেমন হলেও শেষটা ভাল হবে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অতিরিক্ত এই টার্গেট পুরণ করতে কঠোর হচ্ছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এতে হয়রানীর মুখে পড়ে নিরুতসাহিত হচ্ছেন আমদানী রপ্তানী কারকরা। যা টার্গেট অর্জনে বড় বাধা।

চট্টগ্রাম চেম্বার বলছে, কাস্টমসের রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতীগুলো মান্ধাতা আমলের। তাই ব্যবসায়ীক পদ্ধতীর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারছে না কাস্টমস। রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতীতে ডিজিটালাইজেশন এবং ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা করলে জাতীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক ফল আসার পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও সম্ভব হবে।  রপ্তানী পণ্য স্টাফিংয়ের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে শুল্কায়ন সম্পন্ন করতে বাধ্যতামুলক করাসহ বেশ কিছু নতুন নিয়ম চালু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। যা অতিরিক্ত টার্গেট পুরণের চেষ্টা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।