এসএ পরিবহনে অভিযানের নামে গ্রাহকদের আমানত লুটে নিলো কাস্টমস-ভ্যাটের কর্মকর্তারা
- আপডেট সময় : ১০:০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
- / ২১১১ বার পড়া হয়েছে
অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে এসএ পরিবহনে অভিযানের ছদ্মবেশে গ্রাহকদের আমানত লুট করেছে কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা। কোনো ধরনের আইনের তোয়াক্কা না করে তারা দেশে উৎপাদিত পণ্যকে অবৈধ দেখিয়ে জব্দ করেছে। কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট কর্মকর্তাদের এমন বেপরোয়া কাণ্ডে ক্ষুব্ধ সাধারণ গ্রাহক থেকে নাগরিক সংগঠগুলো। তারা বলছে, সরকারের ভাবমূর্তি বিতর্কের মধ্যে ফেলতে দুর্নীতিতে মেতেছে কতিপয় কর্মকর্তা। দুর্নীতিবাজদের লাগাম টেনে না ধরলে, কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণাও দেন তারা। রাজশাহী থেকে জিয়াউল গনি সেলিমের প্রতিবেদন।
জরুরি ডাক ও পার্সেল এমনকি জীবনরক্ষাকারী ওষুধও গ্রাহকের চাহিদা মতো সারাদেশে পৌঁছে দিচ্ছে এসএ পরিবহন পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস। প্রায় চার যুগ ধরে দেশের বেসরকারী পার্সেল ও কুরিয়ার খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে এসএ গ্রুপ অব কোম্পানিজের অন্যতম শীর্ষ এই প্রতিষ্ঠানটি। তবে এসএ পরিবহনের এমন সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই উঠেপড়ে লেগেছে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার এসএ পরিবহনের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হানা দেয় কাস্টমস এক্সাইজ অ্যান্ড ভ্যাট বিভাগের একদল কর্মকর্তা। সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই তারা দলবেঁধে ঢুকে পড়ে এসএ পরিবহনের পার্সেল শাখায়। তল্লাশির নামে গ্রাহকদের মূল্যবান পার্সেল তছনছ করে তারা। কথিত অভিযান নিঃস্ফল হতে যাওয়ায়, এক পর্যায়ে মেহেরপুর থেকে আসা এক গ্রাহকের ৯ বস্তা নাসির বিড়ি জব্দ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। প্যাকেটে গায়ে ব্যান্ডরোল থাকার পরও প্রমাণ ছাড়াই তা নকল আখ্যা দিয়ে জোর করেই বিড়ির বস্তাগুলো জব্দ করে নিয়ে যায়।
কী অভিযোগের ভিত্তিতে বিড়ির বস্তাগুলো জব্দ করা হয়েছে তারও কোনো আইনী জবাবও দিতে পারেননি অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাটের এই কর্মকর্তা
অভিযোগ রয়েছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই অনৈতিক উদ্দেশ্যে কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা মাঝেমধ্যেই এসএ পরিবহনে হানা দেন। এতে হয়রানির শিকার সাধারণ গ্রাহকরা।
এদিকে, নাগরিক সংগঠনের নেতারা বলছেন, ভ্যাট অফিসের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অনৈতিক আবদারে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে, কঠোর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
কেবল এসএ পরিবহনেই নয়, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভ্যাট আদায়ের নামে অসাধু কর্মকর্তারা ঘুষ দাবি করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।