এ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি নিয়ে ঢাকার হাসপাতালগুলোতে চলছে সিন্ডিকেট বাণিজ্য
- আপডেট সময় : ০৪:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুলাই ২০২১
- / ১৭৬৩ বার পড়া হয়েছে
এ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি নিয়ে রাজধানী ঢাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে চলছে সিন্ডিকেট বাণিজ্য। ঢাকায় সাড়ে ৪ হাজার এবং বিভিন্ন জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার এ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ করছে একটি অদৃশ্যশক্তি। যাদের হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ। মাঝে-মধ্যে এদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় হলেও অজ্ঞাত কারণে তা থেমে যায়। শক্তিশালী এই চক্রের কবলে পড়ে রোগীদের স্বজনদের গুনতে হচ্ছে নির্ধারিত ভাড়ার কয়েকগুন বেশি।
মূমুর্ষূ রোগীকে হাসপাতালে নিতে বা মরদেহ বহন করতে এ্যাম্বুলেন্সই একমাত্র ভরসা। কিন্তু এই সেবা খাতের বাস্তব চিত্র একেবারেই উল্টো। বিপদের সময় রোগী ও তার স্বজনদের সহানূভতির পরিবর্তে রীতিমত জিম্মি করে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুন বাড়তি টাকা আদায় করা হয় । অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীসহ সারা দেশের প্রায় ৮ হাজার এ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রন করছে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় একটি অদৃশ্যশক্তি ।
কারা নিয়ন্ত্রন করছে এ সিন্ডিকেট? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল, আগারগাঁওয়ের ষাট ফিট রোডে রীতিমত গড়ে উঠেছে এ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ড। সেখান থেকে কোনো রোগী কিংবা মৃতদেহ বহন করতে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দিতে হয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেটকে। এ পর্যন্তই শেষ নয়, রোগী বা মরদেহ বহনের চুক্তি হওয়ার পর সেটি আবার বাইরের এ্যাম্বুলেন্সকে ২৫ শতাংশেরও কম টাকায় সাব কন্ট্রাক্ট দেয় সিন্ডিকেট নেতারা।
সিন্ডিকেটের দালালদের শর্তে রাজি না হয়ে কোন উপায় থাকে না রোগীর স্বজনদের। বাইরের কোনো এ্যাম্বুলেন্স এনে রোগী আনা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। ঢাকার প্রতিটি হাসপাতালের নিয়ন্ত্রনকারী প্রভাবশালী ব্যক্তির হাতে জিম্মি এ্যাম্বুলেন্স চালক এবং মালিকরাও।
এ্যাম্বুলেন্স মালিক এবং সমিতি বলছে, এই সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে তারা। কর্তৃপক্ষের সঠিক পরিকল্পনার অভাবে কমছে না চিকিৎসা নিতে আসা মানুষের দুর্ভোগ।
সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে এ পরিসেবাটি। প্রশাসন বিভিন্ন সময়ে সিন্ডিকেট ভাঙ্গার জন্য ততৎপর হলেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রনকারীরা থেকে যাচ্ছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা এই অনিয়ম রোধে সচেষ্ট হবেন এমন প্রত্যাশা রোগী এবং তাদের স্বজনরা।