কক্সবাজারের বহুল আলোচিত রামু ট্রাজেডি’র ৯ বছর আজ
- আপডেট সময় : ০২:১৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৭০৪ বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজারের বহুল আলোচিত রামু ট্রাজেডি’র ৯ বছর আজ। এইদিন দেশের সবচেয়ে বড় সাইবার ক্রাইমের শিকার হয় শত বছরের ঐতিহ্যবাহী মন্দির, মূর্তি আর বসতবাড়ি হারায় রামু, উখিয়া এবং টেকনাফের বৌদ্ধ সম্প্রদায়। গত ৯ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯টি শৈল্পিক মন্দির, অসংখ্য দেশী-বিদেশী মূর্তি আর ৫ শতাধিক বসতবাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে, রম্যভূমিতে ফিরেছে সম্প্রীতিও। কিন্তু বিচারকার্যে দীর্ঘ সূত্রিতায় কিছুটা হতাশ ধর্মীয় নেতারা।
ফেসবুকের একটি ছবিকে কেন্দ্র করে দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনাটি ঘটে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। সেই রাতে সংখ্যালঘুদের মন্দির ও বসতবাড়ি পুড়িয়ে প্রাচীন ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা চালায় একটি জঙ্গীগোষ্ঠি।
আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে যাওয়া মন্দির আর মূর্তির স্থানে এখন শোভা পাচ্ছে আন্তর্জাতিকমানের শৈল্পিক নির্মাণ শৈলীর মন্দির এবং বুদ্ধমূর্তি। ফলে রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারসহ বিভিন্ন মন্দিরে পুর্ণ্যার্থী ছাড়াও ভ্রমণে আসেন দেশী-বিদেশী হাজারো পর্যটক।
স্থানীয়দের দাবী-তাদের বন্ধন এখন আরো বেশি সুদৃঢ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ। তবে বিচারকার্যে দীর্ঘ সূত্রিতায় কিছুটা হতাশ বৌদ্ধ নেতারা। ৯ বছরের ব্যবধানে ক্ষতবিক্ষত রামুকে নতুন রূপে বদলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৌদ্ধ, মুসলিম, হিন্দু, খৃষ্টান সবাই একে অপরের সাথে আড্ডা-গল্প সবই করেন আগের মতো। ফিরে এসেছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও। এদিকে, রামু, উখিয়া-টেকনাফের ১৮ মামলায় ১৫ হাজার আসামীর মধ্যে ৯৪৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেয় পুলিশ।