কটিয়াদীতে গত ৫শ’ বছরের ঐতিহ্য ধারণ করে বসছে ঐতিহ্যবাহী ঢাকের হাট
- আপডেট সময় : ০৪:৩৭:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১
- / ১৫৫৬ বার পড়া হয়েছে
ঢাক-ঢোলের বাজনা ছাড়া দুর্গাপূজার কোনো আনুষ্ঠানিকতাই যেন পূর্ণতা পায় না। মহাষষ্ঠী থেকে বিসর্জন-সবখানেই চাই ঢাকের আওয়াজ। এ প্রয়োজন থেকেই কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে গত ৫শ’ বছরের ঐতিহ্য ধারণ করে দুর্গোৎসবের সময় বসছে ঐতিহ্যবাহী ঢাকের হাট। ষষ্ঠীর আগের দিন থেকে মোট দুই দিন বসে এ হাট।
নাম ঢাকের হাট হলেও, এখানে কোনো বাদ্যযন্ত্র কেনাবেচা হয়না। ঢাকিরা অর্থের বিনিময়ে পূজা আয়োজকদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। তারাই বাদ্যের তালে-তালে মাতিয়ে রাখেন পূজামন্ডপগুলো। কোন দলের চুক্তিমূল্য কত, তা নির্ধারণ হয় ঢাকিদের দক্ষতার ওপর। তাই হাটেই দক্ষতা যাচাই করে দলগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন পূজার আয়োজকরা।
দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে এ হাটে হাজির হয়েছে অসংখ্য বাদকদল। সাধারণত দলগতভাবে চুক্তি হয় তাদের সঙ্গে। সর্বনিম্ন ১০হাজার থেকে লাখ টাকাও ছাড়িয়ে যায় তাদের চুক্তিমূল্য। শুধু ঢাক-ঢোলই নয়; বাঁশি, সানাই, করতাল, খঞ্জনি, মন্দিরাসহ নানা বাদ্যযন্ত্রও ভাড়া দেয়া হয় এখানে।
পূজা আয়োজকরাও হাট ঘুরে দরদাম করে পছন্দের বাদক দল নিয়ে যায় মন্ডপে।
জনশ্রুতি আছে, ষোড়শ শতাব্দির প্রথম ভাগে রাজা নবরঙ্গ রায়ের আমলে কটিয়াদীতে প্রথম ঢাকের হাটের সূচনা হয়। সেই সময় রাজপ্রাসাদে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হলে রাজা নিজে বাজনা শুনে সেরা দলটি বেছে নেন।
হাটে আসা বাদক দলের থাকা-খাওয়া, নিরাপত্তাসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।