কন্টেইনার সংকটে রপ্তানী পণ্য গন্তব্যে পাঠানো নিয়ে বিপাকে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা
- আপডেট সময় : ০৯:১৫:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪
- / ১৬৭৬ বার পড়া হয়েছে
কন্টেইনার সংকটে রপ্তানী পণ্য গন্তব্যে পাঠানো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, এতে প্রতিটি শিপমেন্টে খরচ বেড়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে জাতীয় অর্থনীতিতে। বিদেশী শিপিং কোম্পানীগুলো বলছে, লোহিত সাগরে হুথি বিদ্রোহীদের হামলাসহ বৈশ্বিক সংকটে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরগুলোতে কন্টেইনার জট সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিকল্প প্রক্রিয়ায় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন তারা।
পণ্য আমদানী করতে বাংলাদেশি আমদানীকারকদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা ২০ ফুট কন্টেইনারের। কিন্তু বিদেশি বায়াররা ৪০ ফুট দীর্ঘ ও ৪০ ফুট হাইকিউব কন্টেইনারে পণ্য আনা নেয়া করতে পছন্দ করেন। শতাংশের হিসেবে আমদানী পণ্যের মাত্র ২০ শতাংশ ৪০ ফুট কন্টেইনার পরিবহণ হয়। কিন্তু রপ্তানীতে এই কন্টেইনারের চাহিদা ৮০ শতাংশেরও বেশি। বাড়িত এই চাহিদা এতদিন আশপাশের বন্দরগুলো থেকে খালি কন্টেইনার আমদানী করেই পুরণ করতো শিপিং কোম্পানীগুলো। কিন্তু সম্প্রতি লোহিত সাগরে হুথি বিদ্রোহীদের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার ঘটনায় ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর থেকে ভ্যাসেলগুলোকে প্রায় ১১ দিনের বেশি পথ পাড়ি দিতে হচ্ছে। এছাড়া এসব বন্দরে মাদার ভ্যাসেলের গড় অবস্থান বেড়েছে ২ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত। এতে ভেঙ্গে পড়েছে প্রয়োজনীয় খালি কন্টেইনার সরবরাহ ব্যবস্থা।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, এতে কন্টেইনারের ভাড়া বেড়েছে কয়েকগুন। সময়ও লাগছে আগের চেয়ে বেশি। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে জাতীয় অর্থনীতিতে। বিদেশী শিপিং কোম্পানীগুলো বলছে, বৈশ্বিক এই সংকটে অপেক্ষা করা ছাড়া আপাতত আর কোনো সমাধান দেখছেন না তারা। দেশের রপ্তানি পন্যের ৬৩ শতাংশের গন্তব্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। আর আমদানি পন্যের বেশিরভাগ আসে চীন থেকে।