করোনা পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত লিচু ব্যবসায়ী এবং বাগান মালিকরা
- আপডেট সময় : ০২:১০:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মে ২০২০
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
করোনা পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত দিনাজপুর ও নাটোরের লিচু ব্যবসায়ী এবং বাগান মালিকরা। কিভাবে উৎপাদিত লিচু বিক্রি করবেন- সেই চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটছে তাদের। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত লিচু ব্যবসায়ীদের পদচারণায় এ সময়টা মুখর থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে তেমন কোনো ব্যবসায়ী আসছেন না। আর সঠিক সময়ে লিচু বিক্রি করতে না পারলে সর্বস্বান্ত হয়ে যাবেন স্থানীয় লিচু ব্যবসায়ী ও বাগান মালিকরা।
নাটোরের ৭টি উপজেলাতেই লিচুর চাষ হয়। তবে গুরুদাসপুর লিচু চাষের জন্য বিখ্যাত। জেলার তিন ভাগের এক ভাগ লিচু এই উপজেলায় চাষ হয়। বর্তমানে শেষ সময়ের লিচু বাগান পরিচর্যা চলছে। লিচু চাষীরা জানান, গাছের পাতা থেকে শুরু করে লিচু পোক্ত হওয়া পর্যন্ত, সাধারণ লিচু বাগান দুই থেকে তিনবার বিক্রি হয়। কিন্তু এ বছর এখনো বাগান বিক্রি করতে পারছে না তারা।
আড়তদার জানান, প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ কোটি টাকার লিচু আড়ৎ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় যায়। করোনার কারনে কোন পাইকারই আসতে পারছে না। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এবার ১৪০ কোটি থেকে ১৫০ কোটি টাকার লিচুর চাষ হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জানালেন, করোনার কারনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, কৃষি মন্ত্রনালয় ও প্রশাসনের সহযোগিতায় লিচু বিক্রির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
দিনাজপুর জেলার মোট লিচুর অর্ধেক হয় বিরল উপজেলার মাধববাটি গ্রামে। এখানে ২ হাজার ৩শত হেক্টর জমিতে বোম্বাই, মাদ্রাজি, বেদেনা, চায়না, কাঠালী জাতের লিচু হয়। চোখ ধাধানো সারি সারি লিচু বাগান যেন কৃষকের সারি সারি স্বপ্ন। কিন্তু করোনার কারণে কৃষকের স্বপ্ন ক্রমে বিবর্ণ হচ্ছে।
শুধু কৃষক নয়, লিচু বাগোনে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। অনেকে হতাশায় বাগানের পরিচর্যা বন্ধ করে দিয়েছেন। নানা রকম ভাবনায় চিন্তিত তারা। এরিমধ্যে ৪ শতাংশ হারে ঋণ, বিভিন্ন প্রনোদনা ঘোষনা করেছে সরকার। কৃষক-ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষায় সব ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানালেন, স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। করোনা পরিস্থিতিতে নাটোর ও দিনাজপুরের লিচু বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের স্বপ্ন ফিকে হবে না-এমন আশার কথা শোনান কৃষি কর্মকর্তারা।