করোনার কারণে স্থবিরতা নেমেছে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে
- আপডেট সময় : ০১:৫৫:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০
- / ১৫৩৯ বার পড়া হয়েছে
করোনার কারণে স্থবিরতা নেমেছে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে। হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ খালের মুখ বন্ধ রয়েছে। অর্ধেক কাজ করেই ফেলে রাখা হয়েছে অধিকাংশ নালা-নর্দমা। ফলে অন্যবারের চেয়ে এবারের বর্ষায় বেশি জলাবদ্ধতার আশংকা করছেন নগরবিদরা। যদিও সিডিএ বলছে, বর্ষার আগে কিছু কাজ করার চেষ্টা করছেন তারা। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু সহায়ক শক্তি হিসেবে নয়, সরাসরি সেনাবাহিনীকে কাজে লাগাতে না পারলে সংকট মোকাবিলা কঠিন হবে।
বর্ষাকালে জোয়ারের পানিতে ফুলে ফেপে ওঠে চট্টগ্রামের খালগুলো। আর এসময় বৃষ্টি নামলে হাবুডুবু খায় গোটা নগরী। জলাবদ্ধতার এই অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পায় সিডিএ। প্রকল্পে ৩৬ টি খাল খননের পাশাপাশি, নালা নর্দমা সংস্কার ও জোয়ারের পানি প্রতিরোধে প্রধান ৫ টি খালের মুখে রেগুলেটর নির্মানের কাজ শুরু হয়।
২০১৭ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিলো এ বছর। কিন্তু এখনো অনেক কাজই বাকি। তারওপর পড়েছে করোনার খরগ। রেগুলেটর নির্মানের কাজ চলায় বন্ধ খালগুলোর মুখ। খোড়াখুড়ি করেই ফেলে রাখা হয়েছে নালা-নর্দমা গুলোও। তাই অন্যান্যবারের চেয়ে এবারের জলাবদ্ধতা আরো দীর্ঘায়িত হওয়ার আশংকা নগরবিদদের।
আসন্ন বর্ষায় জনদুর্ভোগের আশংকার কথা স্বীকার করে সিডিএ বলছে, দুর্ভোগ সহনীয় রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। খাল সংস্কারের পুর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর সহায়তা নিয়েছে সিডিএ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবছর দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হলে সহায়ক হিসেবে নয় সরাসরি মাঠে নামাতে হবে সেনাবাহিনীকে। আর এই উদ্যোগ নিতে হবে সিডিএকেই। পরিসংখ্যান বলছে চট্টগ্রাম শহরের ৪১ টির মধ্যে ২২ টি ওয়ার্ডই ডুবে যায় বর্ষাকালে। আর ৬০ লাখ মানুষের মধ্যে কমবেশী ক্ষতিগ্রস্ত হন ৩১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ।