করোনার ভয়ে তিন বছর ছেলেকে নিয়ে ঘরবন্দি মা
- আপডেট সময় : ১১:৩৬:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১৫৭৬ বার পড়া হয়েছে
ঘটনাটা গুরুগ্রামের চক্করপুরের। তিন বছর ঘরের বাইরে পা দেননি মা-ছেলে। স্বামীকেও বাড়িতে ঢুকতে দেয়া হয়নি।
ভয় যে কোন পর্যায়ে পৌছাতে পারে তার শেষতম উদাহরণ হলো মুনমুন মাঝি। তার ভয় ছিল, বাড়ির বাইরে বের হলেই ছেলেকে আর বাঁচানো যাবে না। তার করোনা হবে। তাই গত তিন বছর ধরে গৃহবন্দি হয়ে থেকেছেন তারা।
স্বামী সুজন মাঝি লকডাউনের পর অফিস গিয়েছিলেন। তাকেও আর বাড়িতে ঢুকতে দেননি মুনমুন। সুজন তারপর থেকে বাড়ির ভাড়া, ছেলের স্কুলের বেতন দিয়ে গিয়েছেন। আর ফ্ল্যাটের বাইরে বাজার রেখে এসেছেন।
শেষ পর্যন্ত তিনি পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। তারপর পুলিশ, শিশুকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য বিভাগের অফিসাররা গিয়ে বাড়ির দরজা ভেঙে মুনমুন ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
ফ্ল্যাটের চেহারা ছিল অবর্ণনীয়। মেঝেতে ছড়ানো চুল। আবর্জনা। খালি প্যাকেট। করোনার ভয়ে ময়লা বাড়ির বাইরে ফেলাও হত না। আর নিজের ও বাচ্চার চুল মুনমুন নিজেই কাটতেন। রান্নার গ্যাস ব্যবহার করতেন না তিনি। ইন্ডাকশন ব্যবহার করতেন।
বাচ্চাটি ঘরের দেওয়ালে ছবি আঁকত। পেন্সিল দিয়ে পড়াশুনো করত। তিন বছর সে য়ূর্যের মুখ দেখেনি। প্রতিবেশীরাও জানত না, মুনমুন নিজেকে ও ছেলেকে ঘরবন্দি করে রেখেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ভয়ংকর ভয়ের থেকেই এই অবস্থায় পৌঁছেছিলেন মুনমুন।
ডয়চে ভেলে