১২:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

করোনার ২য় ডোজ নিয়ে অনিশ্চয়তায় সাড়ে ১৫ লাখের বেশী মানুষ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
  • / ১৫১৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনার ২য় ডোজ নিয়ে অনিশ্চয়তায় সাড়ে ১৫ লাখের বেশী মানুষ। অন্যদিকে টিকা পেতে আকুল মানুষের দুর্ব্যহারে নাজেহাল মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে টিকার জন্য উদগ্রীব মানুষদের ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মূখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। জানালেন, সহসাই ভ্যাকসিন সংকট দূর হবার নয়, তাই সবার উচিত কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।

এক সময় করোনার টিকার অপেক্ষায় যেখানে ছিল মানুষের দীর্ঘ সারি আজ সংকটে সেখানে শুধুই শূন্যতা। দৃশ্যটি রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের। গেল ৭ ফেব্রুয়ারি যেখান থেকে শুরু হয় গণটিকা দেয়ার কর্মসূচী। প্রথম টিকা নেওয়ার ৬০ দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয় টিকার দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম।

এখানে কথা হয় টিকার ২য় ডোজের জন্য অপেক্ষায় থাকা পেশায় গাড়ী চালক মহসীনের সঙ্গে। ১০ জুন থেকে প্রতিদিন টিকার জন্য ধরনা দিচ্ছেন এখানে। কিন্তু মেলেনি ইতিবাচক সাড়া।

অন্যদিকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী শহীদ মিনার সংলগ্ন নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভ্যাক্সিনেশন রুমটি ছিল তালাবদ্ধ। টিকার কারণে একসময় লোক সমাগমে ভরপুর থাকলেও এখন একদম ফাঁকা। টিকা না পাওয়ায় মানুষের দুর্ব্যবহারের স্বীকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে ভারত থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা থাকলেও মিলেছে ১ কোটি ২ লাখ। এর মাঝে রয়েছে উপহার পাওয়া ২০ লাখ ডোজ। প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন। দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন প্রায় ৪২ লাখ ৫৩ হাজার ৫২৬ জন। আর টিকার সংকটে ২য় ডোজের জন্য অপেক্ষায় আছেন ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ৪৮৯ জন ।

এমন পরিস্থিতিতে কথা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্রের সঙ্গে। তিনি জানান প্রথম ও ২য় ডোজের মধ্যবর্তী ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহের মধ্যেই টিকা জোগারে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার এই পরিচালক আরো জানান, চলমান পরিস্থিতিতে নিজে ও পরিবারের সুরক্ষায় টিকার চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা।

তবে টিকার এই মহা সংকটে ইতিবাচক খবর হলো আগামী ১৯ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার এবং চীন থেকে উপহার হিসেবে আসা সিনোফার্মের টিকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

করোনার ২য় ডোজ নিয়ে অনিশ্চয়তায় সাড়ে ১৫ লাখের বেশী মানুষ

আপডেট সময় : ০৭:৫৫:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুন ২০২১

করোনার ২য় ডোজ নিয়ে অনিশ্চয়তায় সাড়ে ১৫ লাখের বেশী মানুষ। অন্যদিকে টিকা পেতে আকুল মানুষের দুর্ব্যহারে নাজেহাল মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে টিকার জন্য উদগ্রীব মানুষদের ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মূখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম। জানালেন, সহসাই ভ্যাকসিন সংকট দূর হবার নয়, তাই সবার উচিত কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।

এক সময় করোনার টিকার অপেক্ষায় যেখানে ছিল মানুষের দীর্ঘ সারি আজ সংকটে সেখানে শুধুই শূন্যতা। দৃশ্যটি রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালের। গেল ৭ ফেব্রুয়ারি যেখান থেকে শুরু হয় গণটিকা দেয়ার কর্মসূচী। প্রথম টিকা নেওয়ার ৬০ দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয় টিকার দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম।

এখানে কথা হয় টিকার ২য় ডোজের জন্য অপেক্ষায় থাকা পেশায় গাড়ী চালক মহসীনের সঙ্গে। ১০ জুন থেকে প্রতিদিন টিকার জন্য ধরনা দিচ্ছেন এখানে। কিন্তু মেলেনি ইতিবাচক সাড়া।

অন্যদিকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী শহীদ মিনার সংলগ্ন নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভ্যাক্সিনেশন রুমটি ছিল তালাবদ্ধ। টিকার কারণে একসময় লোক সমাগমে ভরপুর থাকলেও এখন একদম ফাঁকা। টিকা না পাওয়ায় মানুষের দুর্ব্যবহারের স্বীকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে ভারত থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা থাকলেও মিলেছে ১ কোটি ২ লাখ। এর মাঝে রয়েছে উপহার পাওয়া ২০ লাখ ডোজ। প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন। দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন প্রায় ৪২ লাখ ৫৩ হাজার ৫২৬ জন। আর টিকার সংকটে ২য় ডোজের জন্য অপেক্ষায় আছেন ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ৪৮৯ জন ।

এমন পরিস্থিতিতে কথা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্রের সঙ্গে। তিনি জানান প্রথম ও ২য় ডোজের মধ্যবর্তী ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহের মধ্যেই টিকা জোগারে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার এই পরিচালক আরো জানান, চলমান পরিস্থিতিতে নিজে ও পরিবারের সুরক্ষায় টিকার চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা।

তবে টিকার এই মহা সংকটে ইতিবাচক খবর হলো আগামী ১৯ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার এবং চীন থেকে উপহার হিসেবে আসা সিনোফার্মের টিকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।