কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন টানেলের একটি টিউবের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে
- আপডেট সময় : ০২:২৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের একটি টিউবের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে দ্বিতীয় টিউবের কাজ্ও শুরু করা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২২ সালের নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই টানেলটি খুলে দেয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। আলোচিত মেগা প্রকল্পের এই অগ্রগতিতে খুশি ব্যবসায়ী নেতারা। কিন্তু অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই টানেলের সুফল পেতে কর্ণফূলীর ওপারে যে পরিমান শিল্পায়ন ও নগরায়ণ হওয়ার কথা তার কিছুই হয়নি এখনো।
নদীর তলদেশ থেকে অন্তত ১৪০ ফিট নিচে টানেল বোরিং মেশিনের সাহায্যে নির্মাণ করা হচ্ছে টিউব। এমন দুটি টিউবের ভেতরে নির্মাণ করা হবে চার লেইনের আরসিসি সড়ক। যা দিয়ে চলাচল করবে যাত্রী ও পণ্যবাহী ছোটবড় বিভিন্ন ধরণের যানবাহন। বড় এই প্রকল্পের একটি টিউবের নির্মাণকাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। দুপারের সংযোগ সড়কসহ প্রকল্পের মোট ৫৭ ভাগ শেষ হয়েছে বলে দাবি প্রকল্প পরিচালকে।
চীনের সাংহাই শহরের মতো ওয়ান সিটি টু টাউন ডিজাইনের আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে বড় এই প্রকল্প। দু’পারের সংযোগ স্থাপন হলে এপারের বন্দর নগরীর মতো ওপারের অবহেলিত আনোয়ারাতেও লাগবে উন্নয়নের ছোয়া। তৈরী হবে শিল্পায়ন। ব্যবসা বাণিজ্যে ইতিবাচক প্রভাব পড়ার পাশাপাশি ঘুরে দাড়াবে জাতীয় অর্থনীতি। এমনটাই প্রত্যাশা ব্যবসায়ী নেতাদের।
এদিকে অর্থনীতিবিদরা বলছেন এই টানেলের ব্যবহার বাড়াতে আনোয়ারা এলাকায় যে পরিমান শিল্পায়ন ও নগরায়ন প্রয়োজন তার ছিটেফোটাও গড়ে ওঠেনি এখনো। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও এর সুফল নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে নদীর ওপারের নগরায়ন ও শিল্পায়নে মনযোগী হওয়ার পরামর্শ এই অর্থনীতিবিদের।
চীনের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দেয়া ঋণ আর বাংলাদের সরকারের যৌথ অর্থায়নে মাল্টি লেইন রোড টানেল আন্ডার রিভার কর্ণফূলী প্রজেক্ট প্রকল্পের আওতায় ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলের বোরিং কাজের শুরু হয় গত বছর।