কলম্বো বন্দরে স্থবিরতায় দেশের আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব
- আপডেট সময় : ০৪:৪০:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ এপ্রিল ২০২২
- / ১৫৭৮ বার পড়া হয়েছে
শ্রীলঙ্কায় অস্থিরতার কারণে কলম্বো বন্দরে স্থবিরতা দেখা দেয়ায়, নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যে। বাংলাদেশের অন্তত ৩৫ শতাংশ আমদানী-রপ্তানী পরিচালিত হয় কলম্বো বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধায়। শিপিং লাইন এসোসিয়েশন বলছে, শ্রীলঙ্কায় অস্থিরতায় বিকল্প বন্দরেও চাপ বাড়তে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে সরাসরি জাহাজ চলাচলের ওপর গুরুত্ব দিতে বলেছে বিকডা। যদিও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিকল্প ভাবার সময় এখনো আসেনি।
বাংলাদেশের প্রধান বন্দর চ্যানেলের গভীরতা ১০ মিটারের কাছাকাছি। তাই ২ হাজার টিউসের বেশী কন্টেইনারবাহী জাহাজ ভিড়তে পারেনা চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে।
রপ্তানীতে ইউরোপ ও আমেরিকা আর আমদানীতে চায়নার ওপরই বেশি নির্ভরশীল বাংলাদেশ। কিন্তু এসব দেশের কেউই ছোট জাহাজে পণ্য আনা নেয়াই উৎসাহী নয়। তাই বাধ্য হয়েই শ্রীলংকা, মালোয়েশিয়া আর সিঙ্গাপুর বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা ব্যবহার করতে হয়। ফুটেজ-২
সম্প্রতি চরম রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে শ্রীলংকা। আমদানীনির্ভর জ্বালানী তেলের অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে কলম্বো বন্দরের যন্ত্রাংশ চলাচল। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, শ্রীলংকায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়, পাকিস্থানের রাজনৈতিক সংকটসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অস্থিরতা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এমন বাস্তবতায় অন্যদেশের অভ্যন্তরীন সমস্যা এড়াতে আমদানী ও রপ্তানীমুখি দেশগুলোতে সরাসরি জাহাজ চলাচলের ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহবান শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের।
বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, শ্রীলংকায় সংকট তৈরী হলেও তা মারাত্মক আকার ধারণ করেনি। তবে জরুরী কোন পরিস্থিতি হলে মোকাবিলার পরিকল্পনা আছে তাদের।
শ্রীলঙ্কার বন্দর ব্যবহারকারীরা মালয়েশিয়ার দিকে ঝুঁকে পড়ায় সেখানেও জট তৈরী হয়েছে। সিডিউলের বাইরে পন্য হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে সতর্কতা জারী করেছে সিঙ্গাপুরও।