০২:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

কিশোরগঞ্জে জলে জাল ফেলে মাছ ধরার অধিকার থেকে বঞ্চিত জেলেরা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৬:৩০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৬৭১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কিশোরগঞ্জে “জাল যার জলা তার” কথাটি যেন শুধু কাগজে কলমেই বিদ্যমান। জেলার হাওরাঞ্চলে ছোট-বড় ৩৬৬টি জলমহাল বছরের পর বছর ধরেই রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে। তাই, জাল থাকলেও জলে জাল ফেলে মাছ ধরার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত সাধারণ জেলেরা। এতে করে, মানবেতর জীবনযাপন করছে জেলার কয়েক হাজার জেলে পরিবার। শীঘ্রই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস জেলা প্রশাসকের।

বর্ষাকালে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চল পুরোটাই প্রাকৃতিক মৎস্য আহরণের উৎস। ১ হাজার ৪ শত ৭০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রতি বছর ৮৫ হাজার জেলেদের মাছ ধরতে বাধা দেয় জলমহালের অঘোষিত ইজারাদাররা। পুরো হাওরাঞ্চল তখন থাকে তাদের দখলে।

অভিযোগ রয়েছে, এসব জলমহাল জেলে সমিতির নামে ইজারা হলেও সারা বছরই ভোগ করেন স্থানীয় ক্ষমতাসীন প্রভাবশালীরা। ভরা বর্ষার তিনমাস ইজারাদারদের মোটা অংকের টাকা দিতে হয় জেলেদের। বাকি ৯ মাস তাদের উপোস কাটাতে হয়। হাওর থেকে হাঁসের খাবার শামুক কুড়াতেও অর্থ দিতে হয়। নির্যাতনের ভয়ে প্রভাবশালীদের নাম মুখে আনতেও ভয় পান জেলেরা। জেলেদের অধিকার বাস্তবায়নের বিষয়টি মৎস্য অধিদপ্তরের একার নয় বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। জলমহালের সীমানার বাইরে উন্মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য আহরনে বাধা দেয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। জেলায় প্রতিবছর উৎপাদন হয় ৮২ হাজার টন মাছ। এর মধ্যে শুধু হাওরে প্রাকৃতিকভাবে দেশি মাছই উৎপাদন হয় ৫৪ হাজার টন।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কিশোরগঞ্জে জলে জাল ফেলে মাছ ধরার অধিকার থেকে বঞ্চিত জেলেরা

আপডেট সময় : ০৬:৩০:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কিশোরগঞ্জে “জাল যার জলা তার” কথাটি যেন শুধু কাগজে কলমেই বিদ্যমান। জেলার হাওরাঞ্চলে ছোট-বড় ৩৬৬টি জলমহাল বছরের পর বছর ধরেই রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের দখলে। তাই, জাল থাকলেও জলে জাল ফেলে মাছ ধরার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত সাধারণ জেলেরা। এতে করে, মানবেতর জীবনযাপন করছে জেলার কয়েক হাজার জেলে পরিবার। শীঘ্রই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস জেলা প্রশাসকের।

বর্ষাকালে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চল পুরোটাই প্রাকৃতিক মৎস্য আহরণের উৎস। ১ হাজার ৪ শত ৭০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রতি বছর ৮৫ হাজার জেলেদের মাছ ধরতে বাধা দেয় জলমহালের অঘোষিত ইজারাদাররা। পুরো হাওরাঞ্চল তখন থাকে তাদের দখলে।

অভিযোগ রয়েছে, এসব জলমহাল জেলে সমিতির নামে ইজারা হলেও সারা বছরই ভোগ করেন স্থানীয় ক্ষমতাসীন প্রভাবশালীরা। ভরা বর্ষার তিনমাস ইজারাদারদের মোটা অংকের টাকা দিতে হয় জেলেদের। বাকি ৯ মাস তাদের উপোস কাটাতে হয়। হাওর থেকে হাঁসের খাবার শামুক কুড়াতেও অর্থ দিতে হয়। নির্যাতনের ভয়ে প্রভাবশালীদের নাম মুখে আনতেও ভয় পান জেলেরা। জেলেদের অধিকার বাস্তবায়নের বিষয়টি মৎস্য অধিদপ্তরের একার নয় বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। জলমহালের সীমানার বাইরে উন্মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য আহরনে বাধা দেয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। জেলায় প্রতিবছর উৎপাদন হয় ৮২ হাজার টন মাছ। এর মধ্যে শুধু হাওরে প্রাকৃতিকভাবে দেশি মাছই উৎপাদন হয় ৫৪ হাজার টন।