কুমিল্লা নগরে রাতের আধারে ২৫০ বছরের পুরোনো হাতির পুকুর ভরাট করা হচ্ছে
- আপডেট সময় : ০২:৪৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ জুলাই ২০২৩
- / ১৬৭০ বার পড়া হয়েছে
কুমিল্লা নগরে রাতের আধারে ২৫০ বছরের পুরোনো হাতির পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। পুকুরটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিটি কর্পোরেশন। তবে বন্ধ হয়নি ভরাট কাজ। ফলে পুকুর রক্ষায় বিক্ষোভে নেমেছে এলাকাবাসি।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জগন্নাথদেবের রথযাত্রা টানা হতো হাতি দিয়ে। তাই এই পুকুরের নাম হয়েছে হাতিরপুকুর। ত্রিপুরার রাজা মানিক্য বাহাদুর প্রজাদের পানি পানের জন্য খনন করেছিলেন এই পুকুর।
সেই থেকে স্থানীয়রা গোসল, থালা-বাসন ধোয়াসহ দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে আসছেন পুকুরে। শতবর্ষী এই পুকুর রক্ষায় একাট্টা হয়েছে নগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের এলাকাবাসী।
হঠাৎ করেই ঐতিহ্যবাহী সেই পুকুরের মালিকানা দাবি করে বস্তায় বস্তায় মাটিসহ আর্বজনা ফেলে ভরাট করার চেষ্টা চলছে।
অগ্নিদূর্ঘটনা হলে তা পানি সরবরাহের একমাত্র উৎস্য এই পুকুর। তাই পুকুর রক্ষায় সরকারের দৃষ্টি আর্কষণ করেন এলাকাবাসি।
সিটি কর্পোরেশন পুকুর পাড়ের দেয়াল নির্মাণের কাজ করে দিনে। আর রাতে পুকুর ভরাট করে স্থানীয় সোনা মিয়ার পরিবার।
অকপটে স্বীকার করে বললেন, আড়াইগন্ডার মত পুকুর ভরাট করেছেন তারা।
মালিকদাবিদাররা পুকুরে মাছ চাষ করবেন, তাই কাউকে পুকুর ব্যবহার করতে দেবেন না।
এরইমধ্যেই পুকুরপাড়ের আবদুল জলিল ও চঞ্চল ঘোষসহ তলব করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
এরইমধ্যে সোনা মিয়ার দুই ছেলে জলিল ও জয়নাল মিয়াকে পুকুর ভরাট না করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন।পুকুর ভরাটের প্রতিবাদে জেলা প্রশাসক কার্যালয় ঘেরাওসহ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে কয়েকশ নারী-পুরুষ।