কুষ্ঠ রোগের সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান মেহেরপুর
- আপডেট সময় : ০৮:৩৫:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩
- / ২০১১ বার পড়া হয়েছে
কুষ্ঠ রোগের সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থান মেহেরপুর। সীমান্তবর্তী এই এলাকায় অবহেলিত এই রোগ নির্মূলে রোগী খুঁজের বের করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। রোগ নিরাময়ে এনজিও ও বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার সহযোগিতায় নতুন পরিকল্পনা গ্রহণে কাজ করছে সরকার।
নিয়মিত ওষুধ সেবনে কুষ্ঠ ভালো হলেও রয়েছে সামাজিক নানা বাধা। কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ভেঙে পড়েন মানসিকভাবে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন আত্মীয়-স্বজন এমনকি নিজ পরিবারের কাছ থেকেও।
প্রতি লাখ জনসংখ্যায় ৫ জনের বেশি কুষ্ঠ রোগী থাকলে সেই এলাকায় রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য বিভাগ। দেশের দশ জেলার মধ্যে সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুর তেমনি একটি স্থান।
প্রতিনিয়ত কুষ্ঠ রোগী সনাক্ত হচ্ছে জেলাটিতে। ইতিমধ্যে ছয় জন কুষ্ঠ রোগী বরণ করেছেন পঙ্গুত্ব। অবহেলিত এই রোগটির ভয়াল থাবা কেড়ে নিয়েছে তাদের স্বাভাবিক জীবন। স্বাভাবিক চর্ম সমস্যা মনে করে অবহেলা করা হয় দীর্ঘদিন।
চিকিৎসার পাশাপাশি এসব জেলায় কুষ্ঠ রোগী পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ার দাবি রোগীদের।চিকিৎসায় কুষ্ঠ ভালো হলেও সেখানেও রয়েছে নানা বাধা। নতুন কুষ্ঠ রোগী সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া এখনো অপ্রতুল।
হাঁচি কাশির মাধ্যমে কুষ্ঠ রোগ ছড়ায়। এ রোগের জীবাণু বহুদিন সুপ্ত অবস্থায় থাকে বলে সচেতনতা সবচে বেশি জরুরী। আবার রোগটি সম্পর্কে ডাক্তারকে না জানানো প্রধান বাধা মনে করছেন সিভিল সার্জন।
ইতিমোধ্য রোগটি সনাক্ত করতে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।