কৃত্তিম সংকট তৈরী করে নিত্য প্রয়োজনীয় মসলাজাত পণ্যের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা
- আপডেট সময় : ০৭:৪৪:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মে ২০২০
- / ১৫৪১ বার পড়া হয়েছে
সংকটের কথা বলে গেল এক মাস ধরে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় মসলাজাত পণ্যের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। অথচ ঠিক একই সময়ে বিপুল পরিমাণ পণ্য খালাস না নেয়ায় তা নিলামে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার কারণে চাহিদা কমায় একদিকে ব্যবসায় মন্দা, অন্যদিকে দাপ্তরিক জটিলতার কারণে অনেকেই পণ্য খালাস করতে পারছেন না। এদিকে কারসাজি করে দাম বাড়ানো অসৎ ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে ক্যাব।
দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ। এই বাজারের দোকান ও গুদামে যে পরিমান আদা, রসুন, পেঁয়াজের মজুদ আছে তাতে সংকটের চিন্হ নেই। তারপরও দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সাধারণ ছুটির নামে অঘোষিত লকডাউন শুরু হবার পর থেকেই দাম বাড়ার এই ধারা অব্যহত রয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন সংকটের কারণেই দাম বাড়িয়েছে আমদানীকারকরা।
এদিকে আমদানী করা বিপুল পরিমান পণ্য এসে পরে আছে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন কন্টেইনার ইয়ার্ডে। পণ্য বুঝে নিতে আমদানীকারদের ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়েও সারা পায়নি বন্দর কর্তৃপক্ষ। অবশেষে আদা, রসুন ও পেঁয়াজ ভর্তি ১২ টি কন্টেইনার নিলামে তোলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। পাইপলাইনে রয়েছে আরো বেশকিছু কন্টেইনার।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন করোনাকালের সংকটের কথা।
আর ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ক্যাব বলছে কৃত্তিম সংকট তৈরী করে বাজারে দাম বাড়ানো ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে শাস্তির নজির স্থাপন না করায় এমন ঘটনা ঘটছে ক’দিন পরপর।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক’দিন আগে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া চীনা আদা ২২০ টাকা আর দেশী আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। আর ৮০ থেকে ১০০ টাকার রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে দেড়শো থেকে ১৮০ টাকায়।