কেজিপ্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা করে কমেছে চালের দাম
- আপডেট সময় : ০২:০৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই ২০২০
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
শুল্ক কমিয়ে আমদানীর সিদ্ধান্ত জানানোর সাত দিনের মধ্যে প্রতিকেজি চালের দাম ৩ থেকে ৪ টাকা করে কমেছে চট্টগ্রামের বাজারে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানী শুরু হলে দাম আরো কমবে। সেই সঙ্গে বন্যার অজুহাতে সিন্ডিকেট করার সুযোগ পাবেন না মিলার ও আড়তদাররা। খাদ্য অধিদফতর বলছে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বন্যার কারণে খাদ্য সংকটের পাশাপাশি চুক্তি অনুযায়ী মিলাররা গুদামগুলোতে চাল না দেয়ায় বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
করোনা কালের তিন মাস ধরেই অস্থিরতা চলছে চালের বাজারে। চিকন চাল ৭০ টাকা আর মোটা চালের কেজি ছাড়িয়ে যায় ৪৫ টাকা। টিআর, কাবিখার মতো প্রকল্প বন্ধ থাকায় বাজারে আসেনি সরকারি চাল। তাই অভিযান চালিয়েও নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি চালের বাজার। করোনার কারণে গেল তিন মাস ধরেই বিভিন্নভাবে ত্রাণ বিতরণ, ওএমএসের মাধ্যমে ভর্তুকীমুল্যে খাদ্য সরবরাহ কর্মসুচী চালাতে গিয়ে টান পড়েছে সরকারি খাদ্য গুদামে। এই অবস্থায় সরকার চাল কেনার উদ্যোগ নিলেও এগিয়ে আসেনি মিলাররা। তাই বাধ্য হয়েই শুল্ক কমিয়ে আমদানী উন্মুক্ত করার সুপারিশ করেছে খাদ্য অধিদফতর।
খাদ্য অধিদফতরের এই সিদ্ধান্ত জানানোর ৭ দিনের মধ্যেই সব ধরণের চালের দাম কমেছে বাজারে। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, উত্তরাঞ্চলের কয়েকজন মিলার ও কিছু অসাধু আড়তদার সিন্ডিকেট করে চালের বাজার অস্থির করে তোলে মাঝে মধ্যেই। এতদিন করোনার পর এবার বন্যার অজুহাতকে সামনে আনার চেষ্টাও করছিলেন তারা। কিন্তু এমন সময় সরকারের এই সিদ্ধান্তে ইতিবাচক ফল আসবে চালের বাজারে।
কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় চাল আমদানীতে ৫৪ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করেছে সরকার। কিন্তু মৌসুমের কিছু সময় ছাড়া বছর জুড়ে এই সুবিধা ভোগ করেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। তাই মৌসুম ছাড়া চাল আমদানীর ক্ষেত্রে নির্ধারিত শুল্ক ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে খাদ্য অধিদফতর।