০২:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করবেন?

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৪:২৭:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / ১৬০২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগেন না এমন লোক হয়তো খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কোষ্ঠকাঠিন্য কাকে বলে? সাধারণত কারো যদি সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ হয় সেটাকে আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য বলে থাকি। অনেকেই বলে থাকেন পায়খানা পরিষ্কার হয় না, চিকন নালে বাথরুম হয়। বাথরুম করতে গেলে দেখা যায়, খুব শক্ত ঘুটিঘুটি হচ্ছে এ রকম উপসর্গের রোগীরাই আমাদের কাছে আসেন। এখন কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কী করবেন? প্রাথমিক অবস্থায় কারো যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, সে যদি প্রচুর পরিমাণে পানি, শাক-সবজি খেয়ে থাকেন এবং নিয়মিত প্রত্যুষে মলত্যাগের অভ্যাস করেন; তাহলে অনেকক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য পরিহার করা সম্ভব। অনেকক্ষেত্রে আমরা পায়খানা নরম করার জন্য ল্যাকটোলোজ জাতীয় ওষুধ দিয়ে থাকি। এতেও যদি কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণে রাখা না যায়, তাহলে কেউ যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ‘ইসুবগুলের ভূষি’ দিনে তিনচামচ করে দুইবার সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলেন এবং পূর্ণ বয়স্করা যদি প্রতিদিন ১০-১২ গ্লাস পানি খান, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন। প্রতিদিন প্রত্যুষে নিয়মিত ঘুমান বা পরিপূর্ণ বিশ্রাম নেন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।

এত কিছুর পরও যদি কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো না হয়, অনেকসময় মলদ্বারে শক্ত পায়খানা এসে আটকে থাকে, সেক্ষেত্রে আমরা মলদ্বারে গ্লিসারিন জাতীয় ওষুধ দিতে বলি। তাতেও যদি কাজ না হয়, সেক্ষেত্রে আমরা বলি এনেমা দিতে। কিন্তু এই কোষ্ঠকাঠিন্যকে শুধু ‘কোষ্ঠকাঠিন্য’ ভেবে বসে থাকবেন না। অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য ভেবে ফার্মেসি থেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ কিনে খায়, দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন; কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের আড়ালে অনেক সময় অনেক রকম রোগ থাকে।

যেমন : বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় এমন একটি রোগ, যাকে আমরা বলে থাকি ‘হাসপ্রাঙ্ক ডিজিজ’। এক্ষেত্রে দেখা যায়, মলদ্বারের মাংসপেশীতে বিভিন্ন রকমের স্নায়ু থাকে, যা কিনা সংকোচন-প্রসারণের মাধ্যমে আমাদের মলদ্বার থেকে মলগুলো বের হতে সাহায্য করে, সেই স্নায়ুগুলো যদি না থাকে, অর্থাৎ শুকিয়ে যায়; তাহলে এই ডিজিজটা হয়ে থাকে-হাসপ্রাঙ্ক ডিজিজ। কাজেই বাচ্চাদের যদি দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন শিশু সার্জন বিশেষজ্ঞ বা কোলন ও রেকটাল সার্জন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হবেন। আবার অনেকের দেখা যায়, আগে স্বাভাবিক পায়খানা হতো, হঠাৎ করে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিয়েছে, আবার নরম পায়খানা হচ্ছে। এ রকম সমস্যা যদি হয়, তাহলে দেখা যায় ক্ষেত্রবিশেষে কোলন বা রেক্টাল ক্যান্সার হতে পারে। কাজেই কোষ্ঠকাঠিন্য ভেবে কারো এই রোগটিকে হেলাফেলা করা উচিত নয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য হলেই যে আপনার ক্যান্সার হয়ে যাবে, এ রকম কথা নয়; কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘদিন চলতে থাকলে যদি স্বাভাবিক নিয়ম-কানুনে ভালো না হয়-তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসক রোগীদের রোগের বিবরণ নিয়ে, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে; কী কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে সেটি শনাক্ত করে যথাযথ চিকিৎসা দিবে।

 

ডা. মো. নাজমুল হক মাসুম
জেনারেল ও কোলো-রেকটাল সার্জন
সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কি করবেন?

আপডেট সময় : ০৪:২৭:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগেন না এমন লোক হয়তো খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কোষ্ঠকাঠিন্য কাকে বলে? সাধারণত কারো যদি সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ হয় সেটাকে আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য বলে থাকি। অনেকেই বলে থাকেন পায়খানা পরিষ্কার হয় না, চিকন নালে বাথরুম হয়। বাথরুম করতে গেলে দেখা যায়, খুব শক্ত ঘুটিঘুটি হচ্ছে এ রকম উপসর্গের রোগীরাই আমাদের কাছে আসেন। এখন কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কী করবেন? প্রাথমিক অবস্থায় কারো যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয়, সে যদি প্রচুর পরিমাণে পানি, শাক-সবজি খেয়ে থাকেন এবং নিয়মিত প্রত্যুষে মলত্যাগের অভ্যাস করেন; তাহলে অনেকক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য পরিহার করা সম্ভব। অনেকক্ষেত্রে আমরা পায়খানা নরম করার জন্য ল্যাকটোলোজ জাতীয় ওষুধ দিয়ে থাকি। এতেও যদি কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণে রাখা না যায়, তাহলে কেউ যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ‘ইসুবগুলের ভূষি’ দিনে তিনচামচ করে দুইবার সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলেন এবং পূর্ণ বয়স্করা যদি প্রতিদিন ১০-১২ গ্লাস পানি খান, নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করেন। প্রতিদিন প্রত্যুষে নিয়মিত ঘুমান বা পরিপূর্ণ বিশ্রাম নেন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।

এত কিছুর পরও যদি কোষ্ঠকাঠিন্য ভালো না হয়, অনেকসময় মলদ্বারে শক্ত পায়খানা এসে আটকে থাকে, সেক্ষেত্রে আমরা মলদ্বারে গ্লিসারিন জাতীয় ওষুধ দিতে বলি। তাতেও যদি কাজ না হয়, সেক্ষেত্রে আমরা বলি এনেমা দিতে। কিন্তু এই কোষ্ঠকাঠিন্যকে শুধু ‘কোষ্ঠকাঠিন্য’ ভেবে বসে থাকবেন না। অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য ভেবে ফার্মেসি থেকে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ কিনে খায়, দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন; কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্যের আড়ালে অনেক সময় অনেক রকম রোগ থাকে।

যেমন : বাচ্চাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় এমন একটি রোগ, যাকে আমরা বলে থাকি ‘হাসপ্রাঙ্ক ডিজিজ’। এক্ষেত্রে দেখা যায়, মলদ্বারের মাংসপেশীতে বিভিন্ন রকমের স্নায়ু থাকে, যা কিনা সংকোচন-প্রসারণের মাধ্যমে আমাদের মলদ্বার থেকে মলগুলো বের হতে সাহায্য করে, সেই স্নায়ুগুলো যদি না থাকে, অর্থাৎ শুকিয়ে যায়; তাহলে এই ডিজিজটা হয়ে থাকে-হাসপ্রাঙ্ক ডিজিজ। কাজেই বাচ্চাদের যদি দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন শিশু সার্জন বিশেষজ্ঞ বা কোলন ও রেকটাল সার্জন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হবেন। আবার অনেকের দেখা যায়, আগে স্বাভাবিক পায়খানা হতো, হঠাৎ করে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিয়েছে, আবার নরম পায়খানা হচ্ছে। এ রকম সমস্যা যদি হয়, তাহলে দেখা যায় ক্ষেত্রবিশেষে কোলন বা রেক্টাল ক্যান্সার হতে পারে। কাজেই কোষ্ঠকাঠিন্য ভেবে কারো এই রোগটিকে হেলাফেলা করা উচিত নয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য হলেই যে আপনার ক্যান্সার হয়ে যাবে, এ রকম কথা নয়; কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘদিন চলতে থাকলে যদি স্বাভাবিক নিয়ম-কানুনে ভালো না হয়-তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসক রোগীদের রোগের বিবরণ নিয়ে, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে; কী কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে সেটি শনাক্ত করে যথাযথ চিকিৎসা দিবে।

 

ডা. মো. নাজমুল হক মাসুম
জেনারেল ও কোলো-রেকটাল সার্জন
সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ