খুলনার উপকূলে ধানের পাশাপাশি বাড়ছে চিংড়ি উৎপাদন
- আপডেট সময় : ০৫:৫৫:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
খুলনার উপকূলে লবণ পানি উত্তোলন বন্ধ করার চেষ্টা করছে প্রভাবশালী মহল। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা রয়েছে বাণিজ্যিকভাবে চিংড়ি চাষে। এই অঞ্চলে চিংড়ি চাষ লাভজনক হওয়ায় ‘সাদা সোনা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। দিন দিন চাষির সংখ্যা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই শিল্প থেকে বিপুল রাজস্ব আয় করছে সরকার। ধানের পাশাপাশি চিংড়ি উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছে ঘের মালিকরা।
পাইগাছা উপজেলার দেলুটি ও জিরবুনিয়া মৌজায় গত প্রায় ৩ দশক ধরে ১১ হাজার ১ শ’ বিঘা জমিতে চিংড়ির পাশাপাশি ধান চাষ হয়ে আসছে।যেখানে বছরের শ্রাবণ মাস পর্যন্ত লবণ পানির চিংড়ি চাষ এরপর নদীর পানি মিষ্টি হওয়ায় একই জমিতে ধান চাষ করে লাভবান হচ্ছে কৃষকেরা।
পরিবেশ রক্ষার কথা বলে সম্প্রতি একটি মহল উপজেলা অভ্যন্তরে লবণ পানি উঠানো বন্ধের দাবীতে তৎপর রয়েছে বলে জানান চাষীরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত লবন পানির উত্তোলন বন্ধ না হলে এ অঞ্চল হুমকির মুখে পড়বে।
জেলা মৎস্য বিভাগ জানায়, আধা লবণাক্ত পানি মৌসুমির প্রথমে সরবরাহ করতে না পারলে ঘের সংশ্লিষ্ট ব্যবসা বাণিজ্য থমকে যাবে।
খুলনা জেলার ৯ উপজেলায় ১ লাখ ৪৮ হাজার ৭৬৪ হেক্টর কৃষি জমির মধ্যে লবণ পানি উঠিয়ে চিংড়ি চাষ করা হয় ৫২ হাজার ১২ হেক্টর জমিতে।