০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

খুলনার ময়ূর নদী খননে চার বছরে খরচ ১২৫ কোটি টাকা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:০০:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩
  • / ১৭০২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খুলনা নগরীর ময়ূর নদী খননে ফিরে পাবে প্রাণ, ফিরবে নদীর অস্তিত্ব। কমবে নগরীর জলাবদ্ধতা-এমন প্রত্যাশা নিয়ে খনন শুরু হলেও সীমানা চূড়ান্ত ও অবৈধ দখলদারদের বাধার কারণে ব্যাহত হচ্ছে খনন কাজ । কেসিসি বলছে, সব বাধা উপেক্ষা করে নদী খনন করা হবে, আর সুজন বলছে, নদী খননের নামে শুধু টাকা তছরুফ হচ্ছে, সুফল পাচ্ছে না মানুষ।

খুলনা মহানগরী পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ময়ূর নদী। ক্রমাগত দখল, বাধ দিয়ে মাছ শিকার ও বর্জ্য ফেলায় দূষিত হয়ে পড়ে নদীটি। ২০১৩ থেকে ১৭ সাল পর্যন্ত ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নগর অঞ্চল প্রকল্পের আওতায় ময়ূর নদীর ১৪ কিলোমিটার খনন কাজে অনিয়মের ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও সুফল মেলেনি, উল্টো নদী ভূগছে অস্তিত্ব সংকটে।

এবার খুলনা নগরীর জলাবদ্ধতা ও দূষণ রোধে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিসেম্বর থেকে ময়ূর নদীর খনন কাজ শুরু হয়। কিন্তু নদীর বাঁকে অবৈধ দখলদারদের বাধায় ব্যাহত হচ্ছে খনন কাজ। নদীর বিভিন্ন অংশে বাঁশ ও বাঁধ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। অনেক জায়গায় কেসিসি ও জেলা প্রশাসন সীমানা খুঁটি গেঁড়ে দিলেও তা তুলে অন্য স্থানে স্থাপন করা হচ্ছে। এতে ছোট হয়ে যাচ্ছে মূল নদীর জায়গা। তবে কেসিসি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, সব বাধা উপেক্ষা করে নদী খনন করা হবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন বলছে, ময়ূর নদী খননের নামে শুধু টাকাই তছরুফ হচ্ছে, সুফল মিলছে না। তাই নদীর বুকে গড় তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সিএস ম্যাপ অনুযায়ী সীমানা উদ্ধার ও নদী খনন করতে হবে।

তবে এবার নদী খনন নিয়ে আশাবাদী নদী তীর সংশ্লিষ্টরা। বলছেন, সঠিকভাবে খনন হলে স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে পরিবর্তন আসবে।

নদী দখল উচ্ছেদ করে নদী খনন পূর্ণাঙ্গতা পাক এটাই দাবি এলাকাবাসীর।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

খুলনার ময়ূর নদী খননে চার বছরে খরচ ১২৫ কোটি টাকা

আপডেট সময় : ০২:০০:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

খুলনা নগরীর ময়ূর নদী খননে ফিরে পাবে প্রাণ, ফিরবে নদীর অস্তিত্ব। কমবে নগরীর জলাবদ্ধতা-এমন প্রত্যাশা নিয়ে খনন শুরু হলেও সীমানা চূড়ান্ত ও অবৈধ দখলদারদের বাধার কারণে ব্যাহত হচ্ছে খনন কাজ । কেসিসি বলছে, সব বাধা উপেক্ষা করে নদী খনন করা হবে, আর সুজন বলছে, নদী খননের নামে শুধু টাকা তছরুফ হচ্ছে, সুফল পাচ্ছে না মানুষ।

খুলনা মহানগরী পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ময়ূর নদী। ক্রমাগত দখল, বাধ দিয়ে মাছ শিকার ও বর্জ্য ফেলায় দূষিত হয়ে পড়ে নদীটি। ২০১৩ থেকে ১৭ সাল পর্যন্ত ১২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নগর অঞ্চল প্রকল্পের আওতায় ময়ূর নদীর ১৪ কিলোমিটার খনন কাজে অনিয়মের ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও সুফল মেলেনি, উল্টো নদী ভূগছে অস্তিত্ব সংকটে।

এবার খুলনা নগরীর জলাবদ্ধতা ও দূষণ রোধে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিসেম্বর থেকে ময়ূর নদীর খনন কাজ শুরু হয়। কিন্তু নদীর বাঁকে অবৈধ দখলদারদের বাধায় ব্যাহত হচ্ছে খনন কাজ। নদীর বিভিন্ন অংশে বাঁশ ও বাঁধ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। অনেক জায়গায় কেসিসি ও জেলা প্রশাসন সীমানা খুঁটি গেঁড়ে দিলেও তা তুলে অন্য স্থানে স্থাপন করা হচ্ছে। এতে ছোট হয়ে যাচ্ছে মূল নদীর জায়গা। তবে কেসিসি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, সব বাধা উপেক্ষা করে নদী খনন করা হবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন বলছে, ময়ূর নদী খননের নামে শুধু টাকাই তছরুফ হচ্ছে, সুফল মিলছে না। তাই নদীর বুকে গড় তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সিএস ম্যাপ অনুযায়ী সীমানা উদ্ধার ও নদী খনন করতে হবে।

তবে এবার নদী খনন নিয়ে আশাবাদী নদী তীর সংশ্লিষ্টরা। বলছেন, সঠিকভাবে খনন হলে স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নে পরিবর্তন আসবে।

নদী দখল উচ্ছেদ করে নদী খনন পূর্ণাঙ্গতা পাক এটাই দাবি এলাকাবাসীর।