গভীর শ্রদ্ধায় ভাষা শহীদদের স্মরণ করছে জাতি
- আপডেট সময় : ০২:২৮:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১৬০০ বার পড়া হয়েছে
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আজ। বুকের তাজা রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করে মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের দিন। শোক আর শ্রদ্ধার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কারণে দিবসটি আজ বাঙালির গৌরব ও অহংকারের দিন।
একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমেই শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। পরে একে একে শ্রদ্ধা জানান, স্পিকার, তিন বাহিনী প্রধান ও বিরোধী দলীয় নেতাসহ বিশিষ্টজনরা। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতার পর সব শ্রেণী-পেশার মানুষের ভালবাসা আর শ্রদ্ধার ফুলে ভরে যায় শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ।
(আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি।)
সত্যিই কখনোই ভোলা যায় না সালাম-রফিক-জব্বারসহ ‘৫২র ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ। বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে আদায় করেন মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার।
যে চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে ‘৭১-এ স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। আর ২১ ফেব্রুয়ারি অর্জন করে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি।
ভাষাশহীদদের স্মরণে একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফুলেল শ্রদ্ধা জানাবার পর নীরবতায় স্মরণ করেন ‘৫২-র অকুতোভয় যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ।
এরপর দলীয় সভাপতি হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আরও একবার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
প্রধানমন্ত্রীর পর শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা জানান স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সেনাপ্রধানসহ নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধান। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ১৪ দলীয় নেতৃবৃন্দ ও ঢাকা দক্ষিণের মেয়র।
বিজিবি ও আনসারের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জিএম কাদের।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররাও সামিল হন শ্রদ্ধা জানাবার আনুষ্ঠানিকতায়। শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রেব প্রধান ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান- যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা।
শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের ভিসি, শিক্ষক সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এবং পুলিশ মহাপরিদর্শক।
রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। সব শ্রেণী-পেশার মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে শহীদ বেদী।