গরু-ছাগল বিক্রির জন্য প্রস্তুত থাকলেও, আশানুরূপ দাম না পাওয়ার আশংকা করছে খামারিরা
- আপডেট সময় : ০১:৪৩:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০
- / ১৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
ঝালকাঠিতে ঈদকে সামনে রেখে কয়েক হাজার গরু-ছাগল বিক্রির জন্য প্রস্তুত থাকলেও, আশানুরূপ দাম না পাওয়ার আশংকা করছে খামারিরা। প্রানিসম্পদ বিভাগ বলছে, ঈদের পরও এসব পশু বিক্রি হবে। ফলে, তাদের আশংকা অনুযায়ী লোকসান হবে না। এদিকে, সাতক্ষীরায় সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশুর হাটে বেচা-কেনা নিয়ে হতাশ খামারিরা। অনলাইনে বেচা-কেনা করলে লোকসান হবে না বলে মনে করছে জেলা প্রশাসন। পাবনার পশু খামারিদেরও দুশ্চিন্তা দিন দিন বাড়ছে। করোনার কারণে হাটে আসছে না ব্যাপারি ও ক্রেতা। তবে, অনলাইনে পশু বিক্রিতে বেশ সাড়া ফেলেছে।
ঝালকাঠিতে কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ৪০ হাজার। জেলার প্রায় সাড়ে ১২’শ খামার এবং কৃষকের কাছে এর চেয়ে বেশি পশু রয়েছে। ঈদকে লক্ষ্য করে ব্যাংক ঋণ নিয়ে সারাবছর পশু পালন করেছে। এখন করোনা পরিস্থিতিতে বিক্রি নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
পাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, ঈদের পর বিক্রি করলেও লোকসান হবেনা। সাতক্ষীরায় এবছর ভারত থেকে গরু না আসায় কিছুটা স্বস্তিতে খামরিরা। মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে তাদের এখন একটাই চিন্তা, যে কোনো উপায়ে গরু বিক্রি করে খরচ তোলা। বেতন না পেয়ে খামারের কর্মচারিরাও পড়েছে বিপাকে। এদিকে, অনলাইনে বেচা- কেনা নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
জেলার কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে প্রায় আট হাজার পশু বেশি থাকবে বলে জানান, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা। গরু পালনে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রসিদ্ধ। কোরবানির জন্য এখানে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিবছর রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা এলেও, এবছরের চিত্র একেবারেই উল্টো।
লোকসানের শঙ্কায় থাকা খামারিরা অনলাইনে পশু বিক্রিতে সাড়া পেয়ে বেশ খুশি। এই পদ্ধতিতে করোনা সংক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে বলে মনে করেন, প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা। এই উদ্যোগের ফলে খামারিরা বাড়িতে বসে পশু বিক্রি করে লাভবান হবে বলে জানান তিনি।