গাইবান্ধায় হঠাৎ করে বেড়েছে হত্যা ও সহিংসতার ঘটনা
- আপডেট সময় : ০৪:৫৬:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫২৪ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধায় হঠাৎ করে বেড়েছে হত্যা ও সহিংসতার ঘটনা। গত তিন মাসে ১০টিরও বেশি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে জেলায়। এছাড়া, বেড়েছে চুরি ও অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ব। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে স্থানীয়রা। তবে পুলিশ বলছে, এসব ঘটনা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ ইতিমধ্যে মূল আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গাইবান্ধায় গত ১০ এপ্রিল ব্যবসায়ী হাসানের মরদেহ উদ্ধার করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদের বাড়ি থেকে। ১৮ জুন রাতে কথা কাটাকাটির জেরে মিষ্টি ব্যবসায়ী রোকনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা। ১১ জুলাই রাতে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন, ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রকি।এর কয়েকদিন পর ফল কেনাকে কেন্দ্র করে মারপিটে মারা যান যুবলীগের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম লিখন।
জমি নিযে বিরোধের জেরে জেলার পলাশবাড়িতে খুন হন সামিউল ইসলাম।কামারজানির চরে হাত পা বাধা অবস্থায় পাওয়া যায় পোশাক শ্রমিক নান্নুর মরদেহ। গোবিন্দগঞ্জে মাদকসেবীদের হাতে খুন হন মেজবাউল নামে আরেক ব্যক্তি। এছাড়াও সদরের পিয়ারাপুরে দুই বন্ধু সুমন চন্দ্র ও মৃনাল চন্দ্রকে হত্যা করে তাদের মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়। হত্যাকান্ডের পাশাপাশি বেড়েছে চুরি ও অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ব্য। এসব হত্যাকান্ডের আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে, ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
শুধু প্রশাসনিক তৎপরতায় অপরাধ দমন করা যাবেনা। এ জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছে সুশিল সমাজ।
এসব ঘটনায় ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে জেলাজুড়ে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
১০টির বেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।