কেজিডিসিএলের সাবেক এমডি আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে গ্যাস সংযোগের নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৫:৩৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫৩৯ বার পড়া হয়েছে
২০১৫ সালে আবাসিক লাইনের গ্যাস সংযোগ বন্ধের আগ মুহূর্তে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সাবেক এমডি আইয়ুব খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে। তিনি বর্তমানে পেট্রোবাংলার পরিচালনা পরিষদের পরিচালক। ২৫ হাজার গ্রাহক সংযোগ পেতে ঘুষের টাকা ছাড়াও ডিমান্ড নোট, ও কাটিং পারমিশনের জন্য খরচ করেছেন শত কোটি টাকা। কিন্তু ৫ বছরের মেলেনি তাদের গ্যাস সংযোগ। গ্রাহকদের অভিযোগ, সাবেক এমডির স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই বঞ্চিত হয়েছেন তারা। যদিও এসব অভিযোগে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছেন আইয়ুব খান চৌধুরী। আর কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘুষের দায় তাদের নয়, তবে গ্রাহকের বৈধ টাকা ফেরত দিতে প্রস্তুত তারা।
২০১৫ সাল থেকে আবাসিক লাইনের গ্যাস সংযোগ বন্ধ হয়ে যায় সরকারি সিদ্ধান্তে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত আসার আগ মুহুর্তে সংযোগ দেয়ার কথা বলে শত কোটি টাকার ঘুষ-বাণিজ্য করে চট্টগ্রামের কর্ণফূলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর সাবেক এমডি আইয়ুব খান চৌধুরী সিন্ডিকেট।
বন্দর নগরীর প্রায় ২৫ হাজার গ্রাহক ৭৫ কোটি টাকার ডিমান্ডনোট জমা দেয়ার পাশাপাশি, সিটি কর্পোরেশন ও রোডস এন্ড হাইওয়ের কাটিং পারমিশন চার্জ, ভবনের ওয়ারিংসহ আনুসাঙ্গিক কাজও শেষ করা হয়। কিন্তু গ্রাকরা গত ৫বছরেও সংযোগ পায়নি ।
এরই মধ্যে পেট্রোবাংলার পরিচালক পদে পদোন্নতি নিয়ে বদলি হয়ে যান সংযোগ বাণিজ্যের মূল হোতা আইয়ুব খান চৌধুরী। কেজিডিসিএলের ঠিকাদাররা বলছেন, আবাসিকে গ্যাস সংযোগ বন্ধের সিদ্ধান্তের শুরুতে তিতাস, বাখরাবাদের মতো নতুন সংযোগ দেয়ার সুযোগ কর্ণফূলীতেও ছিলো। কিন্তু সাবেক এমডি আইয়ুব খান ষড়ঞ্জাম কেনা নিয়ে নতুন দুর্নিতির সন্ধানে থাকায় হাতছাড়া হয়েছে সুযোগটি। আর কপাল পুড়ছে ২৫ গ্রাহকের।
তবে কেজিডিসিএলের বর্তমান কর্মকর্তাদের দাবি, ঘুষের টাকার দায় নেবে না কেউ। তবে ডিমান্ডনোটের টাকা কোন গ্রাহক ফেরত নিতে চাইলে প্রস্তুত আছেন তারা।
সংযোগ বাণিজ্যের এই অভিযোগ অস্বীকার করে অন্য কর্মকর্তাদের ঘারে দায় চাপালেন সাবেক এমডি আইয়ুব খান চৌধুরী।
২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত আইয়ুব খান চৌধুরী এমডি থাকাকালিন সময়ে কেজিডিসিএলকে ঘিরে আবাসিক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল খাতে সংযোগ বাণিজ্যের যে সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছিলেন। তার অনুসারীরা এখনো তৎপর রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।