ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে উপকূলসহ বিভিন্ন জেলায় ফসল ও বনাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতি
- আপডেট সময় : ১২:৫৪:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০১৯
- / ১৫৬২ বার পড়া হয়েছে
ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে উপকূলসহ বিভিন্ন জেলায় ফসল ও বনাঞ্চলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এরই মধ্যে ক্ষতি নিরুপণে মাঠে কাজ করছে কৃষি ও বন বিভাগ। ক্ষতিগ্রস্তদের সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে খুলনার জনজীবন। কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছাসহ বিভিন্ন উপজেলায় আড়াই হাজার ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। রাস্তাঘাটে গাছপালা উপড়ে পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলা পর্যায়ে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা।
ভোলায় ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণে কাজ করছে সরকারি সংস্থা। এরইমধ্যে কৃষি ও বন বিভাগের ক্ষতি নির্ধারণে নির্ধারণে মাঠে কাজ করছে কর্মীরা। প্রাথমিকভাবে ৫৫ হাজার হেক্টর আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ।
বাগেরহাটে ৪৪ হাজার ঘরবাড়ি, ১৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ, ৩৫ হাজার হেক্টর ফসলি জমি এবং সাত হাজার ২৩৪টি মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে অর্ধ-শতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ লাইন। বুলবুলের প্রভাবে টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে জেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে মৌলভীবাজারে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। টানা তিনদিন বন্ধ থাকার পর প্রথম সরকারি কর্ম দিবসে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। রাস্তায় গণযানবাহনের সংকট চলছে। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস বলছে, আরো দু-একদিন আকাশ মেঘলা ও বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এদিকে, ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে শুক্রবার রাত ১০টা থেকে দু’দফায় ১৩ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফেরি চলাচল সোমবার সকালে স্বাভাবিক হয়েছে। আর ২২ ঘন্টা পর লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। পাটুরিয়া এবং দৌলতদিয়ায় ঘাটে যানবাহনের কোন চাপ নেই। বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, যানবাহনের অভাবে এই রুটে ১৭টি ফেরির মধ্যে ১৩টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার চলছে।