ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে সারাদেশে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা
- আপডেট সময় : ০৩:১৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ মে ২০২৩
- / ১৫৮৯ বার পড়া হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় মোখা’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব ধরেনর নৌ-চলাচল, নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে মানুষদের।
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্নিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পটুয়াখালীতে। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল। আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন্ন। বেড়েছে বাতাসের গতিবেগ।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল নদী। দূর্ঘটনা এড়াতে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
জানমাল রক্ষায় কক্সবাজার উপকূলে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিভিন্ন সংস্থার ১০ হাজারেরও বেশি কর্মী। উপকূলে ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে। নোয়াখালীর উপকূলে ১০ নম্বর মহাবপিদ সংকেত দেয়ায় আতংকিত স্থানীয়রা। উত্তাল নদীতে সব রকম নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় লক্ষ্মীপুরে ১৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত। ৪২০ মেট্রিকটন চাল, শুকনো খাবার মজুদ রেখেছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ঝালকাঠিতে সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। নদীগুলোতে পানি বেড়েছে ১ থেকে ২ ফুট। জেলা জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি। থেমে থেমে বইছে বাতাস। জেলা প্রশাসন জানিয়েছেন, জেলায় মোট ৪২৭টি আশ্রয় কেন্দ্র, ৫টি কন্ট্রোল রুম, ও ৩২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত। নিয়োজিত রয়েছে ১২০জন স্বেচ্ছাসেবক। চাঁদপুর থেকে শরীয়তপুর, ভোলা, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে চাঁদপুর নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ।