চট্টগ্রাম প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে ফেলে দেয়া হচ্ছে কোরবানীর পশুর চামড়া
- আপডেট সময় : ১১:১১:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪
- / ১৬১৮ বার পড়া হয়েছে
প্রতিবছর প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে ফেলে দেয়া হচ্ছে কোরবানীর পশুর চামড়া। অন্যদিকে বছরে প্রায় দেড়শো মিলিয়ন ডলারের প্রক্রিয়াজাত চামড়া আমদানী করছে বিভিন্ন কোম্পানী। বায়াররা বলছেন, এলডব্লিউজি সার্টিফিকেট না থাকায় বাংলাদেশি ট্যানারীর চামড়া প্রবেশ করছে না উন্নত বিশ্বের বাজারে। আর ট্যানারী মালিকরা বলছেন, দাম নির্ধারণ করা কিংবা ঈদের আগে লবনের যোগান দেয়ার চেয়ে ট্যানারীগুলোর মানোন্নয়নে মনোযোগী হতে হবে সরকারকে।
ঈদের দিন গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা শেষে প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে, বিপুল পরিমান চামড়া রাস্তায় ফেলে বাজার ছাড়ে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। ২০১৯ সালের পর থেকে প্রতি বছর কমবেশি একই দৃশ্যের দেখা মেলে কোরবানীর ঈদকে ঘিরে। ট্যানারী কর্তৃপক্ষ বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রেতা হারিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে বড় ট্যানারীগুলো। যারা টিকে আছে তারাও সক্ষমতার সবটুকু ব্যবহার করতে পারছে না। ফলে বিপর্যয় কাটছে না চামড়া শিল্পে।
দেশের বাজারে যখন কাঁচা চামড়া কেনার মানুষ নেই ফুটেজ-১ তখন বছরে প্রায় দেড়শো মিলিয়ন ডলারের প্রক্রিয়াজাত চামড়া আমদানী করতে হচ্ছে। কারণ এলডব্লিউজি সার্টিফাইড ট্যানারী ছাড়া অন্য ট্যানারীর পণ্য রপ্তানী করা যায় না উন্নত বিশ্বে। কিন্তু বাংলাদেশে এই সার্টিফিকেটধারী ট্যানারী মাত্র ৬ টি। যা দিয়ে বায়ারের বিপুল চাহিদা পুরণ করা অসম্ভব।
চামড়াশিল্পের দুর্দিনের পেছনে আরেকটি বড় কারণ বিশ্বব্যাপী চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়া। আর এজন্য প্রাণী হত্যা সংক্রান্ত অপপ্রচারই দায়ী। যার বিরুদ্ধে পরিবেশবাদী আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানান মহিবুর রহমান। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ঈদের আগে দাম বেধে দেয়া কিংবা লবন, পরিবহনের মতো সামান্য ইস্যুতে ব্যস্ত না থেকে দেশের ট্যানারীগুলোর মানোন্নয়নে মনোযোগী হতে হবে সরকারকে। নইলে পিছিয়ে থাকবে রপ্তানীমুখী শিল্পটি। চামড়া লিল্পের সুদিন ফেরাতে অর্থ, শিল্প, বাণিজ্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রনালয়কে যৌথভাবে উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।