চট্টগ্রাম বন্দরের মতো অফডক গুলোতেও জট সৃষ্টির আশংকা
- আপডেট সময় : ০১:৫১:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মে ২০২০
- / ১৫৩২ বার পড়া হয়েছে
আমদানী পণ্যবাহী কন্টেইনার অফডকে স্থানান্তর করেও ডেলিভারিতে গতি আসেনি চট্টগ্রাম বন্দরে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে বন্দরের মতো অফডক গুলোতেও জট সৃষ্টির আশংকা করছে বিকডা। আর আমদানীকরকরা বলছেন করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় বন্দরের পক্ষ থেকে স্টোররেন্ট মওকুফ করার ঘোষণা দিলেও অফডক কর্তৃপক্ষ সেই সুবিধা না দেয়ায় জটিলতা বেড়েছে। এদিকে বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি অফডকে পণ্য খালাসে আমদানীকারকদের খরচ কিছুটা বাড়লেও জট নিরসনে বিকল্প উপায় নেই তাদের কাছে।
করোনা পরিস্থিতিতে অফিস আদালত ও কলকারখানা বন্ধ থাকায় আমদানী পণ্য ডেলিভারিতে নেমে আসে স্থবিরতা। ফলে ভয়াবহ কন্টেইনার জটের কবলে পড়ে চট্টগ্রাম বন্দর। জট নিরসনে আইন শিথিল করে সংকটকালে সবকটি অপডককে ব্যবহার করার অনুমতি দেয় সরকার। এরপর থেকে প্রায় ১০ হাজার কন্টেইনার স্থানান্তর করলেও খালাসে আগ্রহ দেখাননি আমদানী কারকরা।
আমদানীকরকরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ৪ মে পর্যন্ত স্টোররেন্ট মওকুপের সিদ্ধান্ত দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অফডক মালিকরা সেই সুবিধা না দিয়ে উল্টো কয়েকটি খাতে অতিরিক্ত চার্জ সংযুক্ত করেছে।
আর বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, দেশের জাতীয় অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আইন শিথিল করার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাই আমদানীকারক, অফডক কর্তৃপক্ষসহ সবাই ইতিবাচক মনোভাবে নিয়ে এগিয়ে না এলে সুফল আসবে না।
করোনা পরিস্থিতিতে টানা এক মাস বন্ধ থাকলেও হালে খুলতে শুরু করেছে তৈরী পোষাক কারখানাসহ উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো। এই অবস্থায় আমদানী করা পণ্য খালাসে তোরজোর শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বন্দর ও অফডকের মধ্য সমন্ময় না থাকায় তৈরী হয়েছে নতুন জটিলতা।