চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হচ্ছে আগামী ৮ জানুয়ারি
- আপডেট সময় : ০১:২৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জানুয়ারী ২০২১
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হচ্ছে আগামী ৮ জানুয়ারি। করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রার্থীদের প্রচারণা চালানোর তাগিদ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, ঘরোয়া পরিবেশে নির্বাচনী সমাবেশের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। একইসঙ্গে ভোটগ্রহণে কেন্দ্র বাড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতের চেষ্টা করতে হবে কমিশনকে। আর নাগরিক প্রতিনিধিদের মত, করোনাকালের নির্বাচনে বড় পরিবর্তন আনতে হবে আচরণবিধিতে।
করোনার কারণে টানা ১০ মাস পর আগামী ২৭ জানুয়ারী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এই সময়ের মধে চারটি ওয়ার্ডে ৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় তৈরী হয় জটিলতা। ওই চারটি ওয়ার্ডে নতুন তফসীল ঘোষণা করায় প্রচারণায় নামার ওপর বিধিনিষেধ জারি হয় সবার। ৭ জানুয়ারী ওই চার ওয়ার্ডের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পর ৮ ফেব্রুয়ারী থেকে সবাইকে একসঙ্গে প্রচারণায় নামার অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নাগরিক প্রতিনিধিরা বলছেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে নির্বাচনের মতো জনসমাগমের একটি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে পারলেই ভালো হতো। তারপরও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় যদি তা করতেই হয় তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশনা থাকা উচিত আচরণবিধিতে।
আর রিটার্নিং কর্মকর্তার দাবি আইনগত সীমাবদ্ধতার কারনে আচরণবিধিতে স্বাস্থ্যবিধির মানার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা না গেলেও সব প্রার্থিদেরই সচেতন করার চেষ্টা করছেন তারা।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, করোনার শুরুতে স্থগীত হওয়া নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে তখন; যখন দ্বিতীয়বারের মতো শক্তিশালী হয়ে হানা দিয়েছে মরণব্যাধী ভাইরাস। তাই নতুন এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে নিতে একগুচ্ছ প্রস্তাবণা আছে তাদের।
গেল ২৯ মার্চ ভোটগ্রহণের দিন রেখে তফসিল ঘোষণা করেছিলো নির্বাচন কমিশন। সবপ্রক্রিয়া শেষে আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নেমেছিলেন প্রার্থীরা। কিন্তু এরই মাঝে করোনার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ায় গেল ২১ মার্চ নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।