চট্টগ্রামে ঊর্ধ্বমুখী চাল ডাল তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম
- আপডেট সময় : ০৯:১৯:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৬৪১ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে শীতকালের মৌসুমী সবজির বাজারে কিছুটা দাম কমে স্বস্তি ফিরলেও ঊর্ধ্বমুখী চাল ডাল তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শীতকালীন সবজির পাশাপাশি বাজারে প্রচুর পরিমাণে স্থানীয় সবজি ওঠায় পাইকারী বাজারে দাম কিছুটা কমেছে। অন্যদিকে শীত মৌসুমে নানা অনুষ্ঠানে মাংসের চাহিদা বাড়ার অজুহাতে ব্যবসায়ীরা গরু-খাসি-মুরগিসহ সব ধরনের মাংসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে মাছের দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর কাঁচাবাজারগুলো এখন শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। সরবরাহ বাড়ায় গত দু’ সপ্তাহে বিভিন্ন সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
শুক্রবার নগরীর চকবাজারের কাঁচাবাজার ও রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে ফুলকপি ৩০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, বেগুন ৩৫, ঝিঙে ৫০, করলা ৪০, মিষ্টিকুমড়া ৩০ ও টমেটো ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মৌসুমী সবজি বর্তমানে সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসায় স্বস্তিতে ক্রেতারা। আর বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ বাড়ার কারণেই কমেছে সবজির দাম।
এদিকে, মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহে ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। সোনালী মুরগি আগে ২৩০ টাকা দরে বিক্রি হলে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়, আর খাসির মাংস ৮০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
নিত্যপণ্যের বাজারে প্রায় সব জিনিসের বাড়তি দামে বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। চাল ডাল, আটা-ময়দা, সয়াবিন তেল, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশিরভাগ পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
মাছবাজারে প্রতিকেজি রুই মাছ ২শ’ টাকা, কাতল ৩শ’ টাকা, তেলাপিয়া দেড়শ’ টাকা এবং রূপচাঁদা সর্বোচ্চ সাড়ে ৫শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ- সরকারের দুর্বলতায় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে- নানা অজুহাতে পণ্যের দাম বাড়িয়ে ফায়দা লুটছে। তবে কাঁচাবাজারে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই বলে দাবি চট্টগ্রাম আড়তদার সমিতির নেতাদের।
সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজারে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট বসিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের শাস্তির আওতায় আনলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব বলে মনে করেন সচেতন মহল।