চট্টগ্রামে কীট সংকটের অজুহাতে উপসর্গে মৃতদের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা বন্ধ

- আপডেট সময় : ০১:২৬:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুলাই ২০২০
- / ১৫৫২ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে কীট সংকটের অজুহাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া রোগীদের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে শুধু ডেটিকেটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করা রোগীদেরই তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। এর বাইরে অন্য কোন পরিসংখ্যান আমলে নেয়া হচ্ছে না। তাই সরকারি হিসেবে এখনো চট্টগ্রামে মৃতের সংখ্যা ২শো’র ঘরে না পৌছুলেও, করোনা রোগীদের দাফনের কাজে নিয়োজিত ৬টি সংগঠন বলছে, হাজারের বেশী করোনার মরদেহ দাফন ও সৎকার করেছেন তারা।
চট্টগ্রামে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয় গেল ৯ এপ্রিল।তিন মাসের মাথায় শুক্রবার সরকারি হিসেবে এ সংখ্যা ছিলো ১৮৭ টি। শুরুতে জ্বর, গলা ব্যাথা, হাঁচি, কাশিসহ করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া সবার নমুনা পরীক্ষা করা হলেও এখন তা করছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। তাই করোনা রোগীদের দাফনের কাজে নিয়জিত সংগঠনগুলোর সাথে সরকারি হিসেবের রয়েছে বিস্তর ফাঁরাক।
করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গে মারা যাওয়া রোগীদের দাফনে এগিয়ে আসা সেচ্ছাসেবী সংগঠন গাউছিয়া কমিটি গেল তিন মাসে সর্বোচ্চ দাফন করেছে ৩১৫ টি মরদেহ। এছাড়া আল মানাহিল ২৭০, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ১৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৮১ টি মরদেহের দাফন করে। এর বাইরে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সৎকার কমিটির পক্ষে কাট্টলি মহাশ্মশানে ৫১ টি মরদেহ দাহ ও চান্দগাঁও বৌদ্ধ বিহারের পাশে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ৩০ জনের সৎকার করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন বলছেন, কীট সংকটসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় চাহিদা অনুযায়ী নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া সাধারণভাবে মারা যাওয়া রোগীদেরও করোনা উপসর্গ বলে দাবি করার প্রবণতা আছে। আর তাই মরদেহ দাফনে নিয়োজিত সংগঠগুলোর সঙ্গে তাদের পরিসংখ্যনের গরমিল রয়েছে।
এদিকে চিকিৎসক নেতাদের দাবি, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে নানান ছল চাতুরির আশ্রয় নিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আর তাই করোনা পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র উঠে আসছে না সরকারি পরিসংখ্যানে।
চট্টগ্রামে সাতটি করোনা ডেটিকেটেড হাসপাতালের বাইরে ১২ টি বেসরকারি হাসপাতালের আংশিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে গড়ে ওঠা ৫ টি আইসোলেসন সেন্টার মিলিয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য শয্যা আছে সর্বোচ্চ এক হাজারটি। কিন্তু এ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।