চট্টগ্রামে জনসমাগম ঠেকাতে মাঠে ভ্রাম্যমাণ আদালত
- আপডেট সময় : ০৫:০৭:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫২৭ বার পড়া হয়েছে
সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের আগেরদিন চট্রগ্রাম মহানগরের সর্বত্রই দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। জনসমাগম ঠেকাতে আজ থেকেই মাঠে নেমেছে ভ্রাম্যমান আদালত ও পুলিশের বিশেষ টিম। করোনায় আক্রান্তদের সেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বিভাগও ছিলো তৎপর। কাল পবিত্র মাহে রমজান শুরুর কারণে খাদ্যপণ্যের বাজারেও ক্রেতাদের ঢল নেমেছে । নগরীর মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলোতেও ছিলো মানুষের উপচে পড়া ভিড়।
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নতুন আইসিইউ ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা। করোনার শুরুতে মাত্র ৫০টি বেড নিয়ে যাত্রা শুরু হয় এই হাসপাতালের। তিন দফায় দেড়শো বেডে উন্নিত করেও সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা।
নগরীর হাজারী গলির চিত্র এটি।স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও কয়েকগুণ মানুষের সমাগম এখানে। জেলা প্রশাসনের দুটি ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়েও জনসমাগম ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। একইচিত্র, টেরিবাজার, নিউমার্কেট, চিটাগং শপিং সেন্টারসহ সবকটি মার্কেট ও বিপনী বিতানের। রমজান ও ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করার কথা জানিয়ে গার্মেন্ট ও কলকারখানা খোলা রেখে শুধু মার্কেট আর গণপরিবহনের ওপর লকডাউন কার্যকরা করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
এদিকে নগরীর পাহাড়তলী বিটাক মোড়ে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৭০শয্যার আইসোলেশন সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়। আয়োজকরা বলছেন,করোনার দ্বিতীয় প্রাদুর্ভাব আগের চেয়ে শক্তিশালী হওয়ায় এই উদ্যোগ তাদের।
হাসপাতালটি উদ্বোধন করতে এসে, কাল থেকে লকডাউন কার্যকর করতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। প্রয়োজনে কঠোর হবার ঘোষণাও দেন সিএমপি কমিশনার।
কাল থেকে সর্বাত্মক লকডাউন হলেও আজ পর্যন্ত সাধারণ লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। কিন্তু চট্টগ্রামে তার কোন প্রভাবই দেখা যায়নি সারাদিনে।