চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যসহ ১৪টি ম্যুরাল ও স্থাপনার পাহারায় পুলিশ মোতায়েন
- আপডেট সময় : ০২:১৩:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫৩৫ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যসহ ১৪টি ম্যুরাল ও স্থাপনার পাহারায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সিএমপি বলছে, কুষ্টিয়ার মতো অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে জাতির পিতাসহ বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে এমন সব স্থাপনার নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি নগরজুড়ে গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পর এসেও জাতির পিতার ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্কের ঘটনাটি জাতির জন্যও লজ্জার। এ বিষয়ে ব্যর্থতার দায়ভার এড়াতে পারে না সরকারও।
চট্টগ্রাম মহানগরীর বড়পোল মোড়ে জাতির পিতার সবচে’ বড় এই ভাস্কর্যটি স্থাপন করে সিটি কর্পোরেশন। ভাস্কর্যের পাদদেশে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ এখনো শেষ হয়নি। এরই মধ্যে ভাস্কর্য ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশ। কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের পাশাপাশি অবমাননার ঘটনা ঘটেছে বিভিন্ন এলাকায়। তাই ঝুঁকি এড়াতে চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট এলাকাটি সিসিটিভির আওতায় আনার পাশাপাশি ২৪ ঘন্টা পুলিশ মোতায়েন করেছে সিএমপি।
ষোল শহর বিপ্লব উদ্যানে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের নিরাপত্তায়ও নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। প্রবর্তক মোড়ে আইয়ুব বাচ্চুর রূপালী গিটার, নিমতলায় জাতীয় ক্রিকেট দলের ভাস্কর্য, এমনকি জিয়া স্মৃতি জাদুঘর কম্পাউন্ডে অবস্থিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার ভাস্কর্যকে ঘিরেও জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
ভাস্কর্য লালন করে একটি জাতির সংগ্রাম, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর প্রাপ্তিকে। আর তাই স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরে এসেও জাতির পিতাসহ বাঙালি ও বাংলাদেশকে ধারণ করা ভাস্কর্যের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়াকে লজ্জার বলেই মনে করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ভিসি।
আর রাজনীতি-বিশ্লেষকরা মনে করেন, অতীতে রাজনৈতিক কারণে ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে ব্যবহারসহ তাদের কাছে মাথা নত করায়ই আজ এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যার দায় সরকারও এড়াতে পারে না।
চট্টগ্রামে মোট ১৪টি ভাস্কর্যসহ অসংখ্য ম্যুরাল, প্রতিকৃতি ও টেরাকোটা রয়েছে। সবক’টি স্থাপনায় সার্বক্ষণিক পুলিশী নিরাপত্তা জোরদার করা সম্ভব না হলেও যতটা সম্ভব সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।