চট্টগ্রামে বাড়ছে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি
- আপডেট সময় : ০২:৩৪:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১৫৯৬ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে ৪২টি মার্কেট ও ১২টি বস্তি বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে। নগরীর ৯৭ ভাগ বহুতল ভবনেই নেই নিজস্ব অগ্নি-নির্বাপন ব্যবস্থা। ফলে ছোট খাটো দুর্ঘটনাও বড় বিপর্যয় ডেকে আনছে। জেলা প্রশাসক বলছেন, অগ্নিনিরাপত্তার নিশ্চিতে নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি মামলা ও জরিমানা করেও সুফল মিলছে না। আর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরে মহাপরিচালক বললেন, সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগের পাশাপাশি জনসচেতনতা না বাড়ালে, আগুণের ঝুঁকি মোকাবিলা করা কঠিন।
চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র আন্দরকিল্লার একটি মার্কেটে বুধবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজনের মৃত্যু হওয়ার পাশাপাশি চোখের পলকে পুড়ে যায় অন্তত ১০ টি দোকান। আশেপাশে পানির যোগান না থাকায়,আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় ফায়ারসার্ভিস কর্মীদের।
আন্দরকিল্লা থেকে এক কিলোমিটার দুরে রিয়াজউদ্দিন বাজারের চিত্র এটি। কয়েক একর জমির ওপর ছোট-বড় কয়েকশো ভবনকে ঘিরে গড়ে উঠেছে সবচেয়ে জনাকীর্ণ এই বাজার। এক ভবনের ভেতর দিয়ে যেতে হয় অন্য ভবনে। ইউটিলিটি সার্ভিসের অবস্থা আরো শোচনীয়।
ফায়ার সার্ভিস ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির তৈরী করা সবশেষ তালিকায়, নগরীর ১২টি বস্তি ছাড়াও রিয়াজউদ্দিন বাজার, জহুর হকার মার্কেট, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, রহমতগঞ্জসহ ৪২ টি মার্কেট অগ্নিকাণ্ডের বড় ঝুঁকিতে আছে। এছাড়া ভবন নির্মান কিংবা আবাসিক এলাকা গড়ে তুলতে ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা মানার নজিরও নেই একেবারেই।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের দাবি, আগুনের ঝুঁকি মোকাবিলায় নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি জেল, জরিমানা করেও সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরী সম্ভব হচ্ছে না।
গেলো বছরের মাঝামাঝি সময়ে স্মরনকালের সবচেয়ে বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে। ৪ দিন ধরে জ্বলতে থাকা সেই আগুনে ৫০ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হন শতাধিক মানুষ।