চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে আবারও শুরু হয়েছে গায়েবি মামলা
- আপডেট সময় : ০১:১৪:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩
- / ১৬০৭ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে আবারও শুরু হয়েছে গায়েবি মামলা। ঘটনাস্থল, বাদী আর আসামীদের নাম আলাদা উল্লেখ করে অভিন্ন এজাহারে দায়ের করা এসব মামলায় অভিযুক্ত করা হচ্ছে সক্রিয় নেতাকর্মীদের। মামলার এজাহারে ২ থেকে ৩শ’ নেতাকর্মীর জটলা, হামলা ও বোমা বিস্ফোরণের মতো ভয়াবহ তথ্য থাকলেও, ঘটনাস্থল ও আশপাশের কেউ কিছুই জানে না। কোনো কোনো ঘটনার বাদীও জানে না মামলার বিষয়বস্তু। বিএনপি নেতাদের দাবি, আগামী নির্বাচন ও এক দফা আন্দোলন দমাতেই গায়েবি মামলায় হয়রানী করা হচ্ছে। অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ বলছে, প্রতিটি মামলা পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত হচ্ছে। সোহাগ কুমার বিশ্বাসের অনুসন্ধ্যানী প্রতিবেদন। ক্যামেরায় ছিলেন অমিত দাশ।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন পটিয়া পৌরসভার এই ময়লার ভাগারের পাশে গেল ১৪ জুলাই রাতে ১৪০ থেকে দেড়শো জন বিএনপি নেতাকর্মী জড়ো হয়ে হামলা করেন পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামের ওপর। হামলার সময় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মুক্তি দাবির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুটুক্তি করে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ এলে, হামলাকারীরা ককটেল ফাটিয়ে পালিয়ে যায়। পটিয়া থানায় এমন একটি মামলা দায়ের হলেও আশপাশের লোকজন জানে না কিছুই। ফুটেজ-১ জিএফএক্স-১ নজরুলের নামের জায়গায় বসবে, ও জিএফএক্স-২ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুটুক্তির জায়গায় বসবে
৩১ জুলাই বোয়ালখালীর শহীদ সুবোল সড়কের মাথায় অভিন্ন হামলা ও বোমাবাজির ঘটনায় ১৬০ জন বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শাকপুরা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম। ঘটনাস্থলের পাশেই পাওয়া গেল তাকে। অকপটে স্বীকার করলেন, দল ও প্রশাসনের চাপেই সম্পুর্ণ মিথ্যা মামলাটি করতে বাধ্য হন তিনি। ফুটেজ-১ জিএফএক্স-৩ এই প্যারার মাঝামাঝি যে কোন জায়গায় বসানো যাবে
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, একদফার চলমান আন্দোলনকে দমাতে অতীতের মতো মিথ্যা ও গায়েবি মামলার পথে হাঁটছে সরকার। কিন্তু এসব মামলায় ভীত নয় নেতাকর্মীরা। ফুটেজ-১ ও ফুটেজ-২
চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বলছেন, প্রতিটি মামলা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গেই তদন্ত করছে পুলিশ। ঘটনা সত্য হলে দোষীরা যেমন ছাড় পাবেন না; মিথ্যা হলে অযথা কাউকে হয়রানী করা হবে না। সেটাফ
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে এমন অভিন্ন এজাহারে অসংখ্য মামলা হয়েছে বিভিন্ন থানায়। কিন্তু সেবার মামলাগুলোর বাদী ছিলো পুলিশ; আর এবার সরকারি দল আওয়ামী লীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মিরা। ফুটেজ-৩