০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের হালদা নদীতে আসতে শুরু করেছে বিপুল পরিমাণ মা মাছ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:২৩:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মে ২০২০
  • / ১৫৯০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে আসতে শুরু করেছে বিপুল পরিমাণ মা মাছ। ইতিমধ্যে নমুনা ডিমও ছেড়েছে তারা। এখন শুধু ভারি বৃষ্টির অপেক্ষা। ডিম পাওয়ার প্রত্যাশায় হালদা পাড়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ডিম আহরণকারীরা। হালদা গবেষকরা বলছেন করোনার কারণে দূষণের মাত্রা এবার একেবারেই নেই। তাই প্রকৃতি পক্ষে থাকলে ডিম আহরণে রেকর্ড হবে এবার। আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানালেন, হ্যাচারীসহ পোনা রূপান্তরের জন্য ১৪২টি মাটির কুয়া প্রস্তুত করা হয়েছে। মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারাও সজাগ আছেন।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র এই হালদা নদী। এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই হাজার হাজার মাইল পেরিয়ে এই প্রজনন ক্ষেত্রে আসে ডিম সম্ভবা রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালবাউস প্রজাতির মা মাছ। মৌসুমের ভারি বৃষ্টিপাতে নদীর পানি ঘোলা হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ডিম ছাড়ে তারা।

এবারো ঘনিয়ে এসেছে সময়; নদীর পানিতে বিপুল পরিমান মা মাছের আনাগোনা দেখছেন হালদা পারের মানুষেরা। চলতি পুর্ণিমা তিথিই ডিম ছাড়ার উপযুক্ত সময়। তাই ডিম আহোরনের বিশেষ জাল, বালতি ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে অপেক্ষায় আছেন ডিম আহরোণকারীরা।

নদী দুষণের ফলে ২০১২ সালের পর থেকেই ডিম আহরোণে লাগে ভাটার টান। তবে এবার করোনার কারণে দুষণের মাত্রা অনেকটাই কম। এছাড়া হালদা দুষনের অভিযোগে অভিযুক্ত একটি কাগজকল, একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র পাহাড়ী এলাকায় তামাক চাষ বন্ধ রয়েছে পরিবেশ কর্মীদের আন্দোলনের ফলে। তাই ডিম আহরোণে এবার অতিতের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা হালদা বিশেষজ্ঞদের।

আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বললেন, হালদা পাড়ের অধিকাংশ মানুষই বংশ পরম্পরাই ডিম আহরোন করেন। সংগ্রহ করা ডিম যাতে নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থাসহ হ্যাচারীর মাধ্যমে পোনা রুপান্তরে সহায়তা করে মৎস বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে সে প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।

২০১৮ সালে হালদা থেকে সংগ্রহ করা ডিম থেকে রেণু হয়েছিলো ২২ হাজার ৬৮০ কেজি। আর গেল বছর তা কমে দাড়ায় মাত্র ৭ হাজার কেজি। তবে এবার দুষণের মাত্রা কম আর মা মাছের আনাগোনা বাড়ায় ২৫ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহের আশা করছেন ডিম আহরোনকারীরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রামের হালদা নদীতে আসতে শুরু করেছে বিপুল পরিমাণ মা মাছ

আপডেট সময় : ০৩:২৩:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মে ২০২০

দেশীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে আসতে শুরু করেছে বিপুল পরিমাণ মা মাছ। ইতিমধ্যে নমুনা ডিমও ছেড়েছে তারা। এখন শুধু ভারি বৃষ্টির অপেক্ষা। ডিম পাওয়ার প্রত্যাশায় হালদা পাড়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ডিম আহরণকারীরা। হালদা গবেষকরা বলছেন করোনার কারণে দূষণের মাত্রা এবার একেবারেই নেই। তাই প্রকৃতি পক্ষে থাকলে ডিম আহরণে রেকর্ড হবে এবার। আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানালেন, হ্যাচারীসহ পোনা রূপান্তরের জন্য ১৪২টি মাটির কুয়া প্রস্তুত করা হয়েছে। মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারাও সজাগ আছেন।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র এই হালদা নদী। এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই হাজার হাজার মাইল পেরিয়ে এই প্রজনন ক্ষেত্রে আসে ডিম সম্ভবা রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালবাউস প্রজাতির মা মাছ। মৌসুমের ভারি বৃষ্টিপাতে নদীর পানি ঘোলা হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ডিম ছাড়ে তারা।

এবারো ঘনিয়ে এসেছে সময়; নদীর পানিতে বিপুল পরিমান মা মাছের আনাগোনা দেখছেন হালদা পারের মানুষেরা। চলতি পুর্ণিমা তিথিই ডিম ছাড়ার উপযুক্ত সময়। তাই ডিম আহোরনের বিশেষ জাল, বালতি ডিঙ্গি নৌকা নিয়ে অপেক্ষায় আছেন ডিম আহরোণকারীরা।

নদী দুষণের ফলে ২০১২ সালের পর থেকেই ডিম আহরোণে লাগে ভাটার টান। তবে এবার করোনার কারণে দুষণের মাত্রা অনেকটাই কম। এছাড়া হালদা দুষনের অভিযোগে অভিযুক্ত একটি কাগজকল, একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র পাহাড়ী এলাকায় তামাক চাষ বন্ধ রয়েছে পরিবেশ কর্মীদের আন্দোলনের ফলে। তাই ডিম আহরোণে এবার অতিতের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা হালদা বিশেষজ্ঞদের।

আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বললেন, হালদা পাড়ের অধিকাংশ মানুষই বংশ পরম্পরাই ডিম আহরোন করেন। সংগ্রহ করা ডিম যাতে নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থাসহ হ্যাচারীর মাধ্যমে পোনা রুপান্তরে সহায়তা করে মৎস বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে সে প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।

২০১৮ সালে হালদা থেকে সংগ্রহ করা ডিম থেকে রেণু হয়েছিলো ২২ হাজার ৬৮০ কেজি। আর গেল বছর তা কমে দাড়ায় মাত্র ৭ হাজার কেজি। তবে এবার দুষণের মাত্রা কম আর মা মাছের আনাগোনা বাড়ায় ২৫ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহের আশা করছেন ডিম আহরোনকারীরা।