চরম হুমকিতে পড়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিস্তীর্ণ ঝাউবন
- আপডেট সময় : ০২:০১:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
চরম হুমকিতে পড়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিস্তীর্ণ ঝাউবন। গত কয়েক দিনে উত্তাল সমুদ্রের ঢেউয়ের আঘাতে বিলীন হয়ে গেছে অসংখ্য ঝাউ গাছ। অব্যাহত ভাঙ্গনে দিন-দিন ঝুঁকির মুখে পড়ছে কক্সবাজার উপকূল। এখনই পরিকল্পিত উদ্যোগ না নিলে উপকূল রক্ষা করা যাবেনা বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অদূরে অপার সৌন্দর্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ঝাউবন। বাতাসের ছন্দে-ছন্দে দুলছে সবুজের সমারোহ। এমন সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিনিয়ত ছুটে আসে ভ্রমণ পিপাসুরা। কিন্তু, এই ঝাউবন এখন বিপর্যয়ের মুখে। সৈকতের লাবনী পয়েন্টের একাংশ, কবিতা চত্বর, ডায়াবেটিক হাসপাতাল, সমিতি পাড়া, নাজিরার টেকসহ অন্তত ৩০টি পয়েন্টে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। গত ১০ বছরে ঘুর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে সমুদ্র গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে আট লাখেরও বেশি ঝাউ গাছ। পরিবেশবিদরা বলছেন, জিও ব্যাগের বাঁধ নয়, প্রাকৃতিকভাবেই ভাঙ্গন রোধ করতে হবে।
প্রতিরক্ষা বাঁধ দিয়েও ঝাউ গাছ রক্ষা করা যাচ্ছেনা বলে জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড। ১৯৭৩ সালে কক্সবাজার উপকূলের প্রায় ৭০৫ হেক্টর বালিয়াড়িতে ১২লাখ ঝাউ গাছ রোপন করা হয়। এর মধ্যে তিন’শ ৩০ হেক্টর জমির ঝাউ গাছ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিলীন হয়ে গেছে বলে জানায় বন বিভাগ। ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত নতুন করে এক’শ৮৫ হেক্টর বালুচরে দু’লাখের বেশি ঝাউ গাছ লাগানো হয়েছে।