চলতি মৌসুমে পঞ্চগড় জেলার মরিচ চাষীদের প্রায় সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকা লোকসান গুণতে হবে
- আপডেট সময় : ০৭:১১:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুন ২০২০
- / ১৫৩০ বার পড়া হয়েছে
চলতি মৌসুমে পঞ্চগড় জেলার মরিচ চাষীদের প্রায় সাড়ে ৪শ’ কোটি টাকা লোকসান গুণতে হবে। মরিচে টেপা-পচা রোগ ধরায় হলুদ হয়ে মরে যাচ্ছে মরিচ গাছগুলো। আর গাছেই পচে যাচ্ছে মরিচ। এতে লাভের মুখ দেখা তো দূরের কথা, উৎপাদন খরচ ওঠানোই কঠিন হবে বলে মনে করছেন চাষীরা। দিশেহারা মরিচ চাষীরা জানান, বেশিরভাগ মরিচের গায়ে ঝলসানো সাদা দাগ হয়ে ঝরে পড়ছে মাটিতে। কিন্তু মরিচের এই রোগ প্রতিরোধে কৃষি বিভাগের কোনো তদারকি নেই বলে অভিযোগ তাদের।
পঞ্চগড় জেলায় এবার সাড়ে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের মরিচ ছাড়াও উচ্চফলনশীল হাইব্রিড জাতের বাঁশগাইয়া, জিরা, মল্লিকা, বিন্দু, হটমাস্টার, সুরক্ষাসহ বিভিন্ন জাতের মরিচের ব্যাপক চাষ হয়েছে। এসব মরিচকে শুকিয়ে ‘শুকনা মরিচ’ হিসেবে বাজারজাত করা হয়। এই প্রথম টেপাপচা রোগের কারণে হেক্টরে ৩ টনের উৎপাদন এবার অর্ধেকে নেমে আসবে বলে আশঙ্কা করছেন চাষীরা। তাদের অভিযোগ, কৃষি কর্মকর্তারা তাদের সমস্যা দেখার জন্য মাঠে আসেন না। এমনকি ফোনও ধরেন না। এদিকে বাজারে দেড়শ টাকা কেজির শুকনা মরিচের দামও অর্ধেকে নেমে এসেছে।
মরিচের রোগ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। মাঝে মাঝে অতিবৃষ্টি, অসময়ে কুয়াশা এবং দিনরাতের তাপমাত্রার তারতম্য কমায় মরিচের এই টেপাপচা রোগ হচ্ছে জানিয়ে কৃষি বিভাগ সহযোগিতা না করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কৃষকদের আতঙ্কিত না হয়ে ছত্রাকনাশক ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। পঞ্চগড় জেলায় মরিচ চাষীরা বছরে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার শুকনা মরিচ উৎপাদন করে থাকেন।