কিনের কী হয়েছে, কেন তাকে জনসমক্ষে দেখা যাচ্ছে না, সেবিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। সরকারি মিডিয়া মঙ্গলবার জানিয়েছে, কিনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। তার জায়গায় ওয়াং য়ি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন।
গত জুন মাস থেকে কিন গ্যাংকে আর জনসমক্ষে দেখা যায়নি। তিনি ইন্দোনেশিয়ায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেননি। তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, অসুস্থতার জন্য তিনি যোগ দিতে পারেননি। তবে তার কী অসুখ করেছে তা বলা হয়নি।
কিন কোথায় আছেন তা না জানানো এবং তাকে সরিয়ে দেয়ার পর জল্পনা তীব্র হয়েছে। জল্পনায় দুইটি বিষয় উঠে আসছে। সেটা হলো, হয় তার শরীর খারাপ অথবা তার বিরুদ্ধে কোনো সরকারি তদন্ত চলছে।
গুজব রটেছে, কিন হংকংয়ের এক নারী সাংবাদিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছেন, কিন সম্পর্কে তাদের কিছুই বলার নেই।
২০২২-এর ডিসেম্বরে কিনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছিল।
ওয়াং য়ি দায়িত্ব পেলেন
২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত ওয়াং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তারপর তিনি কমিউনিস্ট পার্টির পররাষ্ট্র বিষয়ক বিভাগের প্রধান হিসাবে কাজ করছিলেন।
ওয়াং একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দায়িত্ব পেলেন। এখন চীনের সঙ্গে অ্যামেরিকার সম্পর্ক খুবই খারাপ, তাইওয়ান নিয়ে চীন কী করে সেদিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব, ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে চীনের সম্পর্ক কী দাঁড়াবে তানিয়েও প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে।
এই মাসেই ইইউ-র পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেলের চীন সফর করার কথা ছিল। তা বাতিল করা হয়েছে।
কিনকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের খুবই ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বাসভাজন নেতা মনে করে হত। তিনি আগে অ্য়ামেরিকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। সেখান থেকে ৫৭ বছর বয়সে তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়। কিন ছিলেন চীনের আগ্রাসী কূটনীতির সমর্থক। এই কূটনীতিকে বলা হয়, ‘উলফ ওয়ারিয়র’।
ডয়চে ভেলে