প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা ষড়যন্ত্রের অভিযোগে প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান সহ ৫ জনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।

শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান ছাড়া বাকি তিন জন হলেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মাদ উল্লাহ মামুন ও তার ছেলে রিজভী আহমেদ।

মোহাম্মাদ উল্লাহ মামুন ও বিএনপি জোটের একাধিক শীর্ষ নেতা ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরের আগে দেশে ও বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক করে জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র করেন বলে অভিযোগে বলা হয়।

অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রহমান কাজল জানিয়েছেন, আসামিদের অনুপস্থিতিতে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর এ রায় দেন। আসামিদের শাস্তি গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে কার্যকর হবে।

আদালত জয়সহ ১২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড ও যুক্তিতর্কের শেষে এই রায় প্রদান করে।

গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করে। তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। চার্জশিটে মাহমুদুর রহমান ও শফিক রেহমানকে ষড়যন্ত্রের মূল হোতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। মামলার বিচার কাজ এড়াতে শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান দেশ ত্যাগ করেন।

অপর আসামী রিজভী যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এর কাছ থেকে জয়ের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করে বাকিদের দিয়েছিলেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়। একজন বাংলাদেশি রাজনীতিকের তথ্য সংগ্রহের জন্য এফবিআই এজেন্টকে ঘুষ দেয়ার অপরাধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত রিজভীকে ২০১৫ সালে দোষী সাব্যস্ত করে।

তবে সেই রাজনীতিকের পরিচয় প্রকাশ করেনি মার্কিন আদালত।

ডয়চে ভেলে