জার্মানির নাৎসি যুগের জাতীয় সংগীত গাওয়ায় দর্শকের ‘শাস্তি’
- আপডেট সময় : ১১:১০:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৭৮৪ বার পড়া হয়েছে
নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত মঙ্গলবারের ঐ ম্যাচে স্ভেরেফ ইটালির ইয়ানিক সিনার বিরুদ্ধে খেলছিলেন৷ এক পর্যায়ে এক দর্শককে ঐ সংগীত গাইতে শুনে তিনি ম্যাচ রেফারির কাছে অভিযোগ করেন৷
খেলা শেষে স্ভেরেফ বলেন, ‘‘তিনি (দর্শক) হিটলারের জাতীয় সংগীত গাওয়া শুরু করেন৷ একজন জার্মান হিসেবে আমি ইতিহাসের ঐ সময়টা নিয়ে গর্বিত নই, এবং সেজন্য এটা করা ঠিক নয়৷” তিনি বলেন, ‘‘তিনি (দর্শক) প্রথম সারিতে ছিলেন, ফলে অনেক মানুষ সেটা শুনেছে৷ আমি যদি প্রতিক্রিয়া না দেখাতাম, তাহলে সেটা আমার দিক থেকে খারাপ হতো৷”
স্ভেরেফ আরও বলেন, ‘‘তিনি (দর্শক) শুধুমাত্র হিটলারের সবচেয়ে পরিচিত বাক্যটা বলছিলেন৷ এটা গ্রহণযোগ্য নয়, এটা অবিশ্বাস্য৷”
২৬ বছর বয়সি স্ভেরেফের মা-বাবা রাশিয়ার৷ তবে ১৯৯০ সালের দিকে তারা সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ত্যাগ করেছিলেন৷
জার্মানির জাতীয় সংগীত নেয়া হয়েছে ‘জার্মানদের গান’ কবিতা থেকে৷ এই কবিতায় তিনটি চরণ আছে৷ প্রথম চরণের প্রথম লাইনটি এমন ‘জার্মানি, সবার ওপরে, বিশ্বের সবকিছুর ওপরে জার্মানি’৷ একসময় জাতীয় সংগীতে কবিতার এই অংশটি ব্যবহৃত হতো৷ নাৎসি আমলেও সেটি বলবৎ ছিল৷ কিন্তু অতীতের তুলনায় বেশি আক্ষরিক অর্থে গানের কথাগুলো গ্রহণ করেছিল নাৎসি সরকার৷
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতীয় সংগীতে ঐ কবিতার প্রথম চরণ বাদ দিয়ে শেষ চরণটি নেয়া হয়৷ সুর একই রাখা হয়৷ শেষ চরণের প্রথম লাইনটি এমন, ‘জার্মান পিতৃভূমির জন্য ঐক্য এবং ন্যায়বিচার এবং স্বাধীনতা!’ বর্তমানে এটিই জাতীয় সংগীত হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে৷
ঐ দর্শক রাজনৈতিক কোনো বক্তব্য প্রদর্শন করতে নাৎসি আমলের জাতীয় সংগীত গাইছিলেন কিনা, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি৷ কিংবা ঐ জাতীয় সংগীতকে যে অনেক আধুনিক জার্মান নেতিবাচক হিসেবে দেখেন, ঐ দর্শক সেটা জানতেন কিনা, তা-ও জানা যায়নি৷ কারণ, জাতীয় সংগীতে যে পরিবর্তন এসেছে সেটি জার্মান ভাষাভাষী দেশগুলোর বাইরের মানুষ যে জানবেনই, বিষয়টা তেমন নয়৷
ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ